কল্যাণ ডেস্ক
বগুড়ার সদর উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে পাওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বিক্রি করে দেওয়ায় এক সুবিধাভোগীকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ঘরের দলিল এবং যাবতীয় কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার এরুরিয়া ইউনিয়নের কদমতলী এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা মেলায় এ দণ্ড দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন।
দণ্ডিত ব্যক্তির নাম জামরুল শেখ। আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ঘর পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে না থেকে অন্য স্থানে বসবাস করছিলেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে জামরুল শেখ ২১০৮ দাগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জমিসহ দুই কক্ষের একটি সেমিপাকা ঘর উপহার পান। কিন্তু গত দুই মাস আগে একই আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগী ইদ্রিস আলী আকন্দের কাছে ৭০ হাজার টাকায় ঘরটি বিক্রি করে দেন।
অভিযোগ পেয়ে শুক্রবার সকালে অভিযান চালানো হয় এবং অভিযানে ঘর বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়। এর দায়ে জামরুল শেখকে এক মাসের জেল দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঘরের দলিল এবং যাবতীয় কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে। জামরুল শেখকে আর ঘর দেওয়া হবে না। তার স্থানে অন্য একজন ভূমিহীনকে ঘর প্রদান করা হবে।’
ঘর বিক্রির প্রসঙ্গে জামরুল শেখ বলেন, ‘উপহারের ঘর বিক্রি করে অন্য স্থানে জায়গা কিনেছি। সেখানেই থাকি।’ এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি।
নিজে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকলেও ৭০ হাজার টাকায় আরেকজনের ঘর কিনলেন কীভাবে? জানতে চাইলে ইদ্রিস আলী আকন্দ বলেন, ‘আমার বাড়িঘর কিছুই ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাকে ঘর উপহার দিয়েছেন। আমার পাশেই জামরুল শেখের ঘর। অভাবের কথা বলে দুই মাস আগে তার উপহারের ঘর আমার কাছে ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে। আমি কিস্তির টাকা দিয়ে ওই ঘর কিনেছি।’
এদিকে ঘর কেনায় ইদ্রিসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে ইউএনও ফিরোজা পারভীন বলেন, ‘যিনি ঘর কিনেছেন, তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’