ভিলেজ পলিটিক্স বলে একটা কথা আছে। এর শিকার যারা হয়েছেন কেবল তারাই বোঝেন বিষয়টার ক্ষতিকর প্রভাবের কথা। গ্রাম-গ্রামান্তর জুড়ে বহু মানুষ ভিটেমাটি হারা হয়েছেন। দৈনিক কল্যাণে এমনই একটি খবর প্রকাশ হয়েছে ২১ মার্চ। যশোর সদর উপজেলার ছোট মেঘলা ও ঝিকরগাছা উপজেলার মল্লিকপুর পাশাপাশি দু’গ্রামের কৃষকরা এক ভিলেজ পলিটিক্সের শিকার আজ। তারা তাদের নিজস্ব জমিতে সেচ ব্যবস্থার আওতায় চাষাবাদ করবেন। এ জন্য একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শতাধিক বিঘা জমিতে বোরোধান চাষের জন্যে তারা ২০১৭ সালে একটি গভীর নলকূপ বসানোর আবেদন করেন। উপজেলা সেচ কমিটি যাচাই-বাছাই করে ২০১৯ সালে লাইসেন্স প্রদান করে। কিন্তু বাধ সেধেছেন একজন। ছোট মেঘলা-মল্লিকপুর মাঠে তার একটি গভীর নলকূপ আছে। তিনি অজুহাত খাড়া করেছেন, যারা নতুন করে গভীর নলকূপ স্থাপন করতে চাচ্ছেন তাদের কারণে তার গভীর নলকূপটি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এ অজুহাতে তিনি মামলাও করেছেন। যার কারণে নতুন করে যারা নলকূপ স্থাপন করতে চাচ্ছিলেন তাদের লাইসেন্স স্থগিত হয়ে গেছে। ওই স্থগিত লাইসেন্স ফিরে পেতে মানববন্ধন করেছে সেই শত বিঘা জমির কৃষকরা। আলোচিত চালু গভীর নলকূপটির যিনি মালিক তিনি এলাকায় মামলাবাজ বলে পরিচিত। অতি ক্ষুদ্র বিষয়েও তিনি মামলা ফেঁদে মানুষকে হয়রানি করেন। তার চক্রান্তের শিকার হলেন এবার গ্রামের খেটে খাওয়া কৃষকরা। সেচ ব্যবস্থায় বাধা তো দিলেনই তার ওপর পানি বন্ধ করে দিয়ে শুকিয়ে মারছেন কৃষকদের ফসল।
মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ২০ বিঘা জমির সেচ বন্ধ করে দেযায় বোরো ধানের ক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। সেচ আইনে আছে সমতল মাঠে একটি গভীর নলকূপ থেকে আর একটি গভীর নলকূপের দূরত্ব আড়াই হাজার ফুট হতে হবে। প্রস্তাবিত নলকূপটির দূরত্ব দু’হাজার ফুট। কিন্তু মাঠটি সমতল নয়। সেচ কমিটি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করেই লাইসেন্স প্রদান করেছিল। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেচ কমিটি যেখানে লাইসেন্স দিল সেখানে যুক্তিহীন অজুহাত তোলা উৎপাদন বৃদ্ধির বিরোধীতার নামান্তর। এসব হীন চক্রান্তকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক অবরোধ গড়ে তোলা দরকার। এসব শ্রেণির মানুষের কারণে দেশের উন্নয়ন বিঘিœত হয়। বিশেষ করে খাদ্য উৎপাদনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এদেরকে আষ্কারা দিলে জাতি পিছিয়ে যাবে।