নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে জেলার ৮ উপজেলায় চলতি বছর একশ ৯৫ মেট্রিক টন গম, ২৬ হাজার ৭শ ৫৪ মেট্রিক টন চাল ও ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার ৭শত ২৮ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ৫টি উপজেলায় অ্যাপসের মাধ্যমে এবছর সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করা হবে। বুধবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ সংক্রান্ত সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলায় গমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়নি। ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৩ হাজার ১৩৮, চাল ৬ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে।
শার্শায় ধান ৩ হাজার ৩২৫, চাল ৬ হাজার ১৭১, গম ৪০ মেট্রিক টন, অভয়নগরে ধান ১ হাজার ৮৫২, চাল ৭ হাজার ২১২, গম ২৫ মেট্রিক টন, ঝিকরগাছায় ধান ২ হাজার ৭১৫, চাল ১ হাজার ৬০৮, গম ২৬ মেট্রিক টন, কেশবপুরে ধান ১ হাজার ৩৬০, চাল ১ হাজার ১৬, বাঘারপাড়ায় ধান ১ হাজার ৯৭৫, চাল ৩২৬ মেট্রিক টন, মণিরামপুরে ধান ৩ হাজার ৮৯২, চাল ২ হাজার ৫২৫, গম ৩৫ মেট্রিক টন এবং চৌগাছায় ধান ২ হাজার ৪৭১, চাল ১ হাজার ৬৩১ ও গম ৬৯ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে চলতি মৌসুমে।
বোরো ধানের প্রতি কেজি ২৭ টাকা ও চাল ৪০ টাকা কেজি সংগ্রহ করা হবে। ৭ মে থেকে শুরু হয়ে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। সিদ্ধ চালকল মালিকদের চুক্তি সম্পাদনের সময়সীমা ১৬ মে পর্যন্ত। গমের প্রতিকেজি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ টাকা এবং সংগ্রহ চলবে ১ এপ্রিল থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।
সভা থেকে আরও জানা যায়, চুক্তিবদ্ধ চালকল মালিকদের ৩০ ও ৫০ কেজির খালি বস্তা গ্রহণের জন্য জামানত দিতে হবে ৭০ টাকা ও ১শ ২০ টাকা।
জেলায় চুক্তিযোগ্য মোট মিল সংখ্যা ২৭টি। অটোমেটিক মিল ও হাস্কিং মিল সংখ্যা যথাক্রমে ২৩ ও ২৩৪টি।
সভায় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু।