মুহাদ্দিস শাফিউর রহমান আফসারী ॥ মাহে রমজানের আজ দ্বিতীয় অধ্যায় শুরুহলো। আর এ অধ্যায় বা পর্বের নাম হলো মাগফিরাত। রমজানের ফজিলাত সর্ম্পকে সবচেয়ে বেশী আলোচিত হাদিসটি আজ আমি প্রিয় পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরছি, হযরত আবু হুরাইরা (রা:) হতে বর্নিত আছে,তিনি বলেন,রাসুল্ল্লুাহ (স:) বলেছেনঃ বনি আদমের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব আল্লাহ তায়ালা দশ গুন থেকে সাত শত গুন পর্যš বাড়িয়ে দিয়ে থাকেন,কিন্তু রোজার ব্যাপারে ব্যতিক্রম হবে। কেননা আল্লাহ বলেন ,আমার বান্দাহ আমার সšোষ্টির জন্য রোজা রেখেছে এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব, কেননা আমার বান্দাহ আমার কথামত খানা-পিনা ও কামনা-বাসনা ত্যাগ করেছে। তিনি আরো বলেন, রোজাদারদের জন্য দু’টি খুশীর মুহুর্ত আছে। তার একটি হলো রোজাদার যখন ইফতারী করে আর একটি হলো রোজাদার বান্দা যখন জান্নাতে আল্লাহর সাথে মহা দীদার বা সাক্ষাত লাভ করবেন।একই হাদিসে আল্লাহর রাসুল আরো বলেন, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশক আম্বরের চেয়েও উত্তম। আর রোজা হলো শয়তানের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার ঢাল। অতএব তোমরা যখন রোজা রাখবে তখন তোমারা অশ্লীল কথা বা কাজ করবে না এমনকি তোমাদের রোজা অবস্থায় যদি কেউ তোমাদের গালাগালি করতে আসে বা ঝগড়া করতে আসে তবে তোমরা বলবে আমি একজন রোজাদার (বুখারী-মুসলীম)এ হাদিস থেকে খুব ভালভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, রোজাদার উম্মতদের জন্য পূরষ্কার আল্লাহ তায়ালা নিজেই। অর্থাৎ রোজাদার বান্দার জন্য আল্লাহই পুরষ্কার। আর রমজান হলো আল্লাহর অসংখ্য নেয়ামতে ধন্য ও রহমত,বরকত ও মাগফিরাতের বাণীতে শিক্ত । আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন,রোজা একজন রোজাদারকে তাকওয়ার বা খোদাভীরু তার পথে অগ্রসর করতে পারে যদি উক্ত রোজাদার রোজার হক আদায় করে রোজা পালন করতে পারে।পবিত্র রমজান আমাদের মাঝে আসলে সমাজ জীবনেও একটা পবিত্রতার ছোয়া দেখা যায়। মাহে রমজান আসলে আমরা আল্লাহর ইবাদতে বেশী করে মাশগুল থাকি এবং আল্লাহর ভয়ে সকল প্রকার গোনাহ থেকে আমরা যথাসাধ্য বিরত থাকি। আমাদের সর্বদা মনে রাখতে হবে রোজা আমাদের জন্য একটা মহা নেয়ামত। আর আল্লাহর দেয়া এই মহা নেয়ামতকে আমাদের অবশ্যই এই মাহে রমজানে কাজে লাগাতে হবে। তবেই মহান নাজাতের ঠিকানা আমরা খুজে পাব।