এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
ফুলের রাজধানী খ্যাত যশোরের ঝিকরগাছার গদখালীতে তিন দিনের ফুল উৎসব- ২০২৩ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। ফুলকানন পানিসারা-হাড়িয়া ফুল মোড়ে এ উৎসব আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক উদ্বোধন করবেন। ফুলের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ উৎসবে ফুল রাজ্যকে সবার সামনে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি।
এদিকে ফুল উৎসবকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতেছেন এলাকার ফুল চাষিরা। ফুল ক্ষেতকে নবরূপে সাজানো হয়েছে। প্রতিটি ফুল সেডকে এক একটি স্টলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এই উৎসবে ফুল উৎপাদক, ফুল ব্যবসায়ী, ফুল সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে রয়েছে- উদ্বোধন, ফুল প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। দ্বিতীয় দিনে রয়েছে, নারী ফুলচাষীদের সাথে সরকারের উন্নয়ন দর্শন সম্পর্কে উঠান বৈঠক ও শিশুদের ফুল বিষয়ক চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। তৃতীয় দিনে উঠান বৈঠকসহ নারী নেতৃত্বে গ্রুপ ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা, কৃষক সম্মাননা ও সমাপনী অনুষ্ঠান। এর পাশাপাশি উৎসব প্রাঙ্গণে বৃহত্তর কুষ্টিয়া-যশোর অঞ্চলের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী করা হবে।
বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, পানিসারা-হাড়িয়া ফুল মোড়ের ফুল ক্ষেতগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। এ মোড়ে অবস্থিত রেস্টুরেন্টগুলোকেও ফুল ক্ষেতের আদলে রূপ দেয়া হয়েছে। ফুল চাষী ইসমাইল হোসেন বলেন, ফুল উৎসবকে কেন্দ্র করে আমাদের ফুল ক্ষেতগুলোকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।
যশোর ফুল উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের আব্দুর রহিম বলেন, ফুল উৎসবে এলাকার ফুলচাষীদের মধ্যে উৎসব শুরু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, ফুলের বাণিজ্যিক সম্প্রসারণ অর্থাৎ বিশ্ববাজার ও দেশীয় বাজারে ঝিকরগাছার উৎপাদিত ফুলকে আরও পরিচিত করতে আমাদের এই আয়োজন। আমরা আশা করি এই উৎসবের মাধ্যমে ঝিকরগাছা উপজেলার ফুলের রাজ্য হিসেবে সুখ্যাতি আরো আড়ম্বরপূর্ণ হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, ঝিকরগাছার গদখালী অঞ্চলে ১২শ’ হেক্টর জমিতে ১১ প্রকারের ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এ এলাকার ৬শ পরিবারের দেড় লাখ মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এ অঞ্চলে প্রতি বছর সাড়ে তিনশ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয়।
আরও পড়ুন: এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোর কালার মেশিন ঠিক হবে কবে?