নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পাঁচ গ্রাম ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে নৌকা চুরির শালিস ও ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উভয় পক্ষের পাঁচ ছয়টি বসত বাড়ি ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতরা নড়াইল, কালিয়া ও খুলনা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন। ওই নির্বাচনে বিজয়ী সদস্য প্রার্থী সাখাওয়াত মন্ডলের সাথে পরাজিত প্রার্থী জাদবপুর এলাকার মারুফের লোকজনের সংঘর্ষ হয়। শুক্রবার দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় চলতে থাকে সংঘর্ষ।
স্থানীয় ও হাসপাতালে আহতরা জানান, পাঁচগ্রাম ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আশিক বিল্লাহ এবং অপর পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বাদশা মোল্যার বিবদমান গ্রুপ রয়েছে। সম্প্রতি একটি নৌকা চুরির ঘটনার মীমাংসার লক্ষ্যে দুই গ্রুপের স্থানীয় প্রধান সাখাওয়াত মেম্বার ও মারুফ হোসেন শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর মহিষখোলা নুর ইসলামের চায়ের দোকানের সামনে একত্রিত হয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতদের হামলায় মারুফ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মারুফের লোকজনও পাল্টা হামলা করে।
এতে সাখাওয়াত মেম্বার, তার বড়ো ভাই আসাদ ও তার স্ত্রী মেয়েসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন মারাত্মক জখম হন।
কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাসমীম আলম বলেন, স্থানীয় দ্বন্দ্বের কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।