মারুফ রায়হান, মাগুরা: শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে মাগুরা শহরে ডিসিকোর্ট মার্কেটে লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। কারিগরদের মাঝে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
পৌষ ও মাঘ মাস শীতকাল হলেও বাংলাদেশে কার্তিক মাসের মাঝামাঝি দিক থেকেই শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়। তাই শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্ততি হিসেবে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী লেপ-তোষক তৈরি করে দোকানে মজুদ করছেন। এসব পণ্য বছরের অন্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে বিক্রি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কম্বলের তুলনায় বাজারে লেপের দাম কম হওয়ায় চাহিদা একটু বেশি।
মাগুরা শহরের কলেজ রোডের লেপ-তোষক তৈরির কারিগর রকিব হোসেন বলেন, বিত্তবানরা শীতের আগেই নতুন লেপ ও তোষক তৈরি করেন। অনেকেই পুরোনো লেপ তোষকের কভার পাল্টিয়ে নিচ্ছেন। কার্তিক মাসে এ সময় রাতে শীত পড়তে শুরু করায় কাজের চাপ অনেক বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোষক তৈরির খরচ। এ বছর জিনিসপত্রের দাম অনেকটা বেশি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোশক তৈরিতে খরচ পাঁচ শত টাকা থেকে শুরু করে একহাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একটি লেপ- তোষক তৈরি করলে তাদের ৫ থকে ১২শ টাকা লাভ হয়।
জুতা পট্টির বাবু বেডিংয়ে আসা ক্রেতা ইসলাম বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার লেপ তোষকের দাম বেশি। গত এক সপ্তাহ থেকে শীত অনুভূত হওয়ায় লেপ কিনতে এসেছি। তবে এবারে লেপের জন্য তুলার দাম গত বছরের চেয়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি।
ডিসি অফিসের সামনে মেসার্স শিমুল বেডিংয়ের মালিক শিমুল হোসেন জানান, সাদা তুলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা এবং রঙিন তুলা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছর সাদা তুলা ৮০ টাকা এবং রঙিন তুলা ২৫ টাকা, শিমুল তুলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, কার্পাস তুলা প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা বর্তমানে তুলার বাজার ধরে ৫ থেকে ৬ হাত একটি তোষকের খরচ পড়ে ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৫ থেকে ৬ হাত একটি লেপের খরচ পড়ে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা।
আরও পড়ুন: এবার পারখাজুরা বাঁওড়ে নির্মিত হচ্ছে ভাসমান সেতু