নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে চাঞ্চল্যকর রাজীব হত্যার সাথে জড়িত অভিযোগে আরো দুই জনকে আটক করেছে পিবিআই। আটককৃতরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার পাগলাদাহ উত্তরপাড়ার সোহরাব হোসেন খানের ছেলে বর্তমানে রাজধানী ঢাকার বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা হুমায়ুন কবির খান বাবু (৩৫) ও যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের মৃত মনিরুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম লিটন (৩৬)।
মঙ্গলবার রাতে শহরের বেজপাড়া থেকে লিটনকে ও ঢাকার বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবুকে আটক করা হয়। আটকের পর বুধবার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালালের আদালতে তারা এ হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে রাজীব হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
পিবিআই ও আদালত সূত্র জানায়, রাজীব হত্যা মামলার আসামি শহরের পুরাতন কসবা নিরিবিলি এলাকার আজিজুল হকের ছেলে সজীবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআই দুই দিনের রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে রাজীব হত্যার কথা স্বীকার করে সজীব। তিনি জানান, নিহত রাজীব তার অনুগত ছিল। একপর্যায়ে নিহত রাজীব সজীবুর রহমানের বিশ্বাস ভঙ্গের কয়েকটি কাজ করে। ফলে তাদের মধ্যে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়। নিহত রাজীব আসামি সজিবুর রহমান সজিবের অবাধ্য হওয়ায় রাজীবকে ঘরে আটকে রেখে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেন সজীব ও তার সহযোগীরা। এরপর রাজীবের লাশ ড্রামে ঢুকিয়ে নিজ আত্মীয় বজলুর রহমানের জমিতে থাকা পরিত্যক্ত শৌচাগারের সেফটিক ট্যাংকির ভেতরে রেখে মাটিচাপা দেন সজীবসহ অন্যরা।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই জিয়াউর রহমান জানান, ক্লুলেস এ হত্যাকান্ডের জট খুলেছে। রাজীব হত্যার সাথে আরো কয়েকজন জড়িত আছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরকেও আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন: জমি জটিলতা ব্রিজ নির্মাণে বাধা