আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কেশবপুর :
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেন, মধুসূদন দত্ত অভুতপূর্ব এক প্রবাদ পুরুষ ছিলেন। তিনি পুরানো ধারনা উপেক্ষা করে বাংলা সাহিত্যের নতুন পথ দেখিয়েছেন। এ কারণে যশোরের সাগরদাঁড়ি ধন্য। আধুনিক বাংলা সাহিত্যে তিনি শুধু দেশ নয় পৃথিবীর বুকে নাম করেছেন। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
তিনি আরও বলেন, উন্নত মানের শিক্ষা আমাদের প্রয়োজন। যে শিক্ষায় নিজেদের উন্নত করে দেশের সেবাই নিয়োজিত থাকা যায়।
তিনি বলেন, মধুমেলা যেন নির্মল আনন্দের মেলায় পরিণত হয়। পরিবার-পরিজন নিয়ে যেন মেলা উপভোগ করা যায়। একই সাথে তিনি ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে মধুকবির শিক্ষা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানান।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে বুধবার সপ্তাহব্যাপী মধুমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাগরদাঁড়ীর মধু মঞ্চে স্থানীয় সরকার যশোরের উপ পরিচালক হুসাইন শওকত এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, যশোর-৬ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, যশোর-২ আসনের এমপি নাসির উদ্দীন, যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম ও পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়ল ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম এম আরাফাত হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমীন, থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজুর রহমান, যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাগরদাঁড়ি ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মোস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার সৈয়দা তামান্না হুরায়রা ও জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন কুমার দাস।
এবারের মেলায় সার্কাস, মৃত্যুকুপ, নাগরদোলা ছাড়াও কুঠির শিল্প ও গ্রামীণ পণ্যের পসরার প্রায় ৫০০ স্টল বসেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পূর্বে প্রতিমন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে ফিতা কেটে ও মধু কবির ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকী ও সপ্তাহব্যাপী মধু মেলার শুভ সূচনা করেন।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ব বৃহৎ এই মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প, কৃষি ও লোকজ সামগ্রীর সমাহারসহ বিভিন্ন প্রকার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। কবির জন্মজয়ন্তী ও মধুমেলা উপলক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধুমেলায় উন্মুক্ত মঞ্চে প্রতিদিন মহাকবির জীবনীর উপর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে কবির সৃষ্টি, সাহিত্য ও জীবনীর উপর বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশ গ্রহণ করবেন দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কবি সাহিত্যিকগণ। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যায় মধু মঞ্চে দেশের বরেণ্য খ্যাতিমান শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।