ঢাকা অফিস
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চতুর্থবারের মতো আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠন এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করার চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নির্বাচনের আগে থেকে নেওয়া হচ্ছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিভাগ ও মহানগর থেকে শুরু করে জেলা, থানা এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামেগঞ্জেও দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিস্তর ও কৌশলী ছক চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেহেতু আসন্ন নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ বেশি তাই সূক্ষ্ম পরিকল্পনা ও কৌশলী পদক্ষেপের মাধ্যমে মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানো গুরুত্বপূর্ণ। প্রাথমিকভাবে সারাদেশে সুশৃঙ্খলভাবে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়টি দেখা হচ্ছে গুরুত্বের সঙ্গে। সেজন্য সময় নষ্ট না করে প্রতীক বরাদ্দের সাথে সাথেই আটঘাট বেঁধে মাঠে নামবে সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনী সময়জুড়ে প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে ঝাপিয়ে পড়বেন তারা।
এজন্য গঠন করা হয়েছে ‘বিভাগীয় সমন্বয়ক টিম’। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের শাসনকালের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, বিদ্যমান কার্যক্রমসহ অন্যান্য বিষয় স্থান পাচ্ছে সাংগঠনিক প্রচার-প্রচারণায়। মানুষের সামনে এসব কার্যক্রম তুলে ধরতে দেওয়া হয়েছে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মতো কর্মসূচি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সম্পদের সমৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনাকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে হবে। তাই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মী, নতুন ভোটার, তরুণ প্রজন্ম ও ছাত্রসমাজের প্রত্যেক বন্ধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শেখ হাসিনার জন্য নিবেদন করবেন। এ সময় তারা ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট, বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ প্রভৃতিতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মসূচি প্রচার, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ কর্মসূচি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া, করোনা ও বৈশ্বিক যুদ্ধ মোকাবিলা করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাবিরোধী গোষ্ঠী ও তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিজ নিজ বক্তব্য, লেখা, ভিডিওগ্রাফি, অ্যানিমেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, অনলাইন পেইন্টিং ইত্যাদি প্রকাশ করার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, এ দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পেছনের মূল কারিগর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এ ধারা অব্যাহত রাখতে তার (শেখ হাসিনার) বিকল্প কিছু নেই। চতুর্থবারের মতো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে সাধারণ জনতা, ছাত্রসমাজ, তরুণ প্রজন্ম ও নবীন ভোটার এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অঙ্গীকারবদ্ধ। তারা নিরলসভাবে দিন-রাত সামাজিক মাধ্যমে (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম) কাজ করে চলেছেন। এমন কার্যক্রম বিএনপি ও জামায়াতের তথ্যসন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র আর গুজব রুখে দিয়ে সফলতা বয়ে আনবে বলেও মনে করছেন তারা।
