আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কেশবপুর
যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংলগ্ন কেশবপুর পেট্রোল পাম্পের পাশে কালভার্টের মুখ বন্ধ করে এক ব্যবসায়ীসহ ৫ ব্যক্তি মাটি ভরাটের কাজ করছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাশন পথ বন্ধ হয়ে মধ্যকূল এলাকা জলাবদ্ধতাসহ হাজারও বিঘা জমির ফসল উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ভরাট বন্ধে এলাকাবাসী উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার মধ্যকূল এলাকার মোড়ল পাড়া, কর্মকার পাড়া, দফাদার পাড়া, মোল্যা পাড়া, গাজী পাড়াসহ ৩/৪ গ্রামের বর্ষার অতিরিক্ত পানি শত বছর ধরে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশের কালভার্ট ও ব্রিজ দিয়ে হরিহর নদীতে নিস্কাশিত হয়। সম্প্রতি মধ্যকূল আলিম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা কফিল উদ্দীন ওই জমি কেশবপুর শহরের ব্যবসায়ী তৌহিদুর রহমান, হাফিজুর রহমান, মাসুদুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম ও মাস্টার দীপঙ্কর দাসের কাছে বিক্রি করেন। এ সময় ব্যবসায়ী তৌহিদুর রহমানসহ অন্য ক্রেতাগণ পানি নিস্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা না করে ৪/৫ দিন ধরে মাটি দিয়ে ওই ডোবা ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী বাধা দিলেও কোন কর্ণপাত না করে তারা ডোবা ভরাটের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
এলাকার বয়োবৃদ্ধ কৃষক অনিল কর্মকার, শাহীনুর রহমান জানান, মধ্যকূল সব সময় জলাবদ্ধ এলাকা। বছরে একমাত্র বোরো ছাড়া অন্য কোন ফসল আবাদ হয় না। এরপরও কালভার্টের মুখ ভরাট করলে পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে মানুষের বাড়িতে পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। জলাবদ্ধাতার কারণে শত শত কৃষকের হাজারও বিঘা জমি পতিত থাকবে। যে কারণে এলাকাবাসীর পক্ষে আবুল কাশেম গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাছে অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা য়ায়, জমির ক্রেতাগণ ডোবার আড়াআড়িভাবে বাঁশের পাইলিং করে মাটি ভরাটের কাজ করছে। প্রতিদিন ২/৩ টি ট্রাক্টরে করে মাটি এনে কালভার্টের মুখসহ ওই ডোবা ভরাট করা হচ্ছে। ৫/৬ জন শ্রমিক মাটি সরানোর কাজ করছে। এনিয়ে এলাকার কৃষকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানতে চাইলে জমি ক্রেতা ব্যবসায়ী তৌহিদুর রহমান বলেন, ঘেরের পানি সরানোর জন্যে ওই স্থানে কালভার্ট বসিয়েছিল ঘের মালিক। ওই ডোবা দিয়ে কখনও এলাকার পানি নিষ্কাশন হতো না। তারা মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
