আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ, কেশবপুর: কেশবপুর পৌর শহরের মধ্যকুল শেখপাড়ার হরিহর নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশের জমির মাটি কেটে অবাধে চলছে ব্যবসা। এভাবে মাটি কেটে নেয়ায় নদতীরবর্তী পৌর শহর ও দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের সহযোগিতায় এভাবে মাটি কাটা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় যে চক্রটি বাঁধের পাশ থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে, সেই চক্রটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন একজন ঠিকাদার। চক্রটি প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে জমির মালিকের কাছ থেকে কিনে কেটে নিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল দফাদার, নবু গাজী, বিশ্বনাথ কর্মকার বলেন, এভাবে নদের বাঁধ থেকে দেদার মাটি কেটে নিলে নদের গতিপথ বদলে সামনের বর্ষায় নদের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। আর বাঁধটি ভেঙে গেলে এলাকার কৃষি জমি ও রাস্তাঘাট নদে বিলীন হবে। পৌরসভা ও দুটি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান তারা।
এ ব্যাপারে ঠিকাদার আব্দুস সামাদ বলেন, মধ্যকুল শেখ পাড়া এলাকার ফারুক খন্দকার ও তার মাতা রেনুকা বালা নামের দুই ব্যক্তির কাছ থেকে মাটি কিনে নিয়েছেন। এই মাটি তারা ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করেন। চার-পাঁচ বছর ধরেই তিনি মাটি বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে জানান।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা করেছেন।
তিনি বলেন, খালের মাটি কাটার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়েছি। অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির অপরাধে আব্দুস সামাদ নামে এক ব্যক্তিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং বাঁধের যে মাটি কাটা হয়েছে সেখানে পুনরায় মাটি দিয়ে ভরাট করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।