নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে মায়া রানী (৩৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। মারপিটে আহত অবস্থায় রোববার সন্ধ্যায় ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ওই গৃহবধূর লাশ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্বামী পরিতোষ কুমার সানাকে আটক করেছে পুলিশ। মায়াকে তার স্বামী হত্যা করেছে বলে দাবি করেছে নিহত মায়া রানীর ভাই সুশান্ত কুমার মন্ডল। মায়া রানী সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের তরুন কুমার মন্ডলের মেয়ে। কিন্তু তারা যশোর উপশহর এলাকার সুফিয়া ভিলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন।
কোতোয়ালি থানার এসআই ইয়াসিফ আকবর জয় জানিয়েছেন, এদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে মায়া রানীর স্বামী পরিতোষ কুমার সানা আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্ত্রীকে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরই মধ্যে মায়ার স্বামী সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে মায়ার ভাই সুশান্ত কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে অশান্তি বিরাজ করছিল। তারই জের ধরে তার স্বামী পরিতোষ কুমার সানা মায়া এদিন মায়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
এদিকে নিহত মায়ার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এসআই ইয়াসিফ আকবর জয় আরো জানিয়েছেন, মুমূর্ষ অবস্থায় মায়াকে হাসপাতালে এনেই তার স্বামী পরিতোষ পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এটি হত্যা নাকি অন্য কোন কারণে মারা গেলো সেটা ময়না তদন্ত এবং সরেজমিন তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাবে না।
এই ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেসন্স) পলাশ বিশ^াস জানিয়েছেন, উপশহর এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো মায়া রানী ও তার স্বামী পরিতোষ কুমার সানা। সেখান থেকে এদিন সন্ধ্যায় মুমূর্ষ অবস্থায় মায়া রানীকে হাসপাতালে নিয়ে তার স্বামী। ওই সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তবে কি কারণে মারা গেছে ময়না তদন্ত হলেই জানা যাবে। এছাড়া তদন্ত করে যদি কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
