নিজস্ব প্রতিবেদক
মেয়েরাও ‘চিল’ আর ‘ট্রিট’ দেয়ার নামে মাদকে জড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে এটাই ট্রেন্ডিং। এই চিল করাকে থামাতে হবে। মাদকের ব্যবহার রোধ করতে হবে। একটা জিনিস চিরন্তন সত্য, মাদকের কোনো উপকারিতা নেই। এটা থামানোর জন্য আমরা সব ধরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। তারপরও মাদক বন্ধ হচ্ছে না। মাদক বাড়ার গতি কমলে মাদকবিরোধী অভিযান সফল হবে বলে মন্তব্য করেছেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সকালে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে এই অনুষ্ঠান করা হয়। এর আগে সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। উদ্বোধন শেষে শিক্ষার্থী ও এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যতই প্রভাবশালী হোক, ক্ষমতাধর হোক আমরা তাকে প্রশ্রয় দিতে পারি না। মাদকে জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীদের অনেক সময় রাজনৈতিক দলের নেতারা শেল্টার দিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক সতর্ক করে বলেন, আমাদের দুর্বল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে সুকৌশলে মাদক পুশ করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাকারবারীরা অন্য মালামালের সাথে মাদক পাচার করছে। তিনি মাদক ও চোরাচালানে জড়িতদের পুনর্বাসনের কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রয়োজনে মাদক ও চোরাচালানে জড়িতদের পুনর্বাসন করা হবে। তারপরও মাদক থেকে বিরত রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল, গণপূর্ত বিভাগের উপপরিচালক জাহিদুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার। অনুষ্ঠানে যশোর মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসলাম হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৭টি বিভাগের ২১ জন শিক্ষার্থীর হাতে অতিথিরা ক্রেস্ট তুলে দেন।
