চুড়ামনকাটি (যশোর) প্রতিনিধি
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলের বিরুদ্ধে এক যুবককে মারপিট ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবক সোমবার যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ মতে, যশোর সদরের আব্দুলপুর গ্রামের জাহিদ হোসেন (১৮) সম্প্রতি সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান রুনুকে আগামী নির্বাচনে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই মর্মে ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে। এতে ক্ষিপ্ত হন চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে তানভির হাসান রকসি জাহিদকে রোববার রাতে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেয়। এরপর বাগডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল্লাহ ছাতিয়ানতলা গ্রামের হাদিসুরসহ ৪/৫ জন যুবক ইউনিয়ন পরিষদের পিছনে রায়হানের চায়ের দোকানের ভিতর নিয়ে যায়। তারা জাহিদকে বলে চেয়ারম্যানের বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়ে তুই ফেসবুকে না দিয়ে রুনুকে নিয়ে কেনো পোস্ট করেছিস। এই বলে তারা জাহিদকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং জিআইপি পাইপ ও কাঠের চলা দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এসময় রকসি বাহিনী তার কাছে থাকা এস্কোভেটর ভাড়ার ৬০ হাজার ৫শ টাকা, একটি মোবাইল ফোন এবং একভরি ওজনের একটি রুপার চেইন ছিনিয়ে নেয়। জাহিদ হোসেন আরো জানান, আসামিরা মারপিটের পরে আমাকে দিয়ে জোর পূর্বক মিথ্যা ভিডিও করে নিয়েছে। উক্ত ঘটনা আমি কাউকে জানালে আমাকে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরে খবর পেয়ে আমার পরিবারের সদস্যরা আমাকে রাতেই যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত তানভির হাসান রকসি বলেন, জাহিদকে মারপিট বা তার কাছে থেকে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে আমি জড়িত না। মূলত আমার পিতা ও আমার মান সম্মান নষ্ট করতেই একটি মহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এসআই সেলিম হোসেনের মুঠো ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
