নিজস্ব প্রতিবেদক: মসজিদের ইমামকে অব্যাহতি দেয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দশজন আহত হয়েছেন। আহতারা হলেন ঝিকরগাছার হাজিরবাগের দেউলি গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, শার্শার সাতমাইল গ্রামের আব্দুর রউফ দেউলি মসজিদের ইমাম। দীর্ঘ কয়েক বছর ইমামতি করেছেন। এক পক্ষ মসজিদের ইমামকে রাখতে চান। অপর পক্ষ রাখতে চান না। এই নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে একই গ্রামের নুর হোসেন (৫৫), তার ছেলে শাহিন, রোকন, চাচাতো ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন, হযরত গাজি (৫৪), তার ছেলে বিল্লাল হোসেন ও মাসুম হোসেন, বিসারত হোসেন (৫০) ও তার ছেলে আরিজুলসহ আরো কয়েকজন। আহতদের ঝিকরগাছা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত নুর হোসেন ও বিসারত হোসেন বলেন, আতিয়ার রহমান খান ফুরকানিয়া মাদরাসা ও মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুর রউফ ২২ বছর এখানে ইমামতি করেন। এই মসজিদে যত উন্নয়ন ইমাম রউফের হাতে হয়েছে। কিন্তু মসজিদ কমিটির সভাপতি আলী কদর খান, সম্পাদক তার ভাই মজিদ খান গত দুই দিন আগে বিনা কারণে মসজিদের ইমাম মাওলানা রউফকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজ পড়তে মুসল্লিরা মসজিদে আসেন। ইমামের চাকরির কথা তুললে হামিদ খান ও আলী কদর খান খুবই বাজে ব্যবহার করেন। এসময় মুসল্লিরা প্রতিবাদ করলে খা-পরিবারের লোকজন এসে হামলা করে। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দশজনকে আহত করে।
বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। জুম্মার নামাজ হয়নি বলে জানা যায়।
বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জামান মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, এখনো এবিষয়ে কোন মামলা বা অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ হলে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেব।