ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: স্কিল ফর এমপ্লোয়মেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় ঝিনাইদহে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ঝিনাইদহ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২ শিফটে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী এই প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণ করেন চলতি সেশনে। তাদের ইতোমধ্যে লিখিত, ব্যবহারিক ও ভাইভা পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ হাজার করে টাকা নেয়া হয়েছে পরীক্ষায় পাশ করানোর জন্য। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী সফলভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করলে প্রশিক্ষণার্থীদের যাতায়াত খরচ হিসাবে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা ও লাইসেন্স (প্রফেশনাল) প্রদান করা হয়। দুই শিফটের এই প্রশিক্ষণার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্যেও নেয়া হয়েছে টাকা।
কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান বলেন, এই প্রকল্পের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জাহিদ স্যারই সব কিছু বলতে পারবেন।
অন্যদিকে ঝিনাইদহের বিআরটিসি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪টি ব্যাচ বের হয়েছে। প্রতি ব্যাচে ১০০ জন করে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এখানেও ২-৩ হাজার টাকা লাগে এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ নিতে। পার্শ্ববর্তী লাউদিয়ার কয়েকজন রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তির নিজস্ব লোকেরা ভর্তির সময় আসলে ভর্তি ফর্ম বিক্রি করে এবং তাদের বাছাইকৃত লোকেরায় ভর্তির সুযোগ পায়। এখানকার টেনিং ম্যানেজার মোশারফ হোসেন জানান, তিনি জানুয়ারির ১০ তারিখে ঝিনাইদহে যোগদান করেছেন। এর আগে কোন অনিয়ম হলে তিনি বলতে পারবেন না। তবে এখন কোন অনিয়মের সুযোগ নেই। ঝিনাইদহ কারীগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটেও ঝঊওচ প্রোজেক্টের আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়ে থাকে। এখানেও প্রশিক্ষণের সুযোগ পেতে প্রথমেই দালালের মাধ্যমে দিতে হয় টাকা। অন্যদিকে ঝিনাইদহ বিআরটিয়ে অফিসে দালালদের আস্ফালনে অতিষ্ঠ খোদ অফিসের স্টাফরা। সরকার দলীয় রাজনৈতিক পরিচয়ে জোর জবর দস্তি করে সরকারি খরচের ৩ গুণ বেশি টাকা নিচ্ছেন দালালরা।