নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর কুইন্স হসপিটলের মেডিকেল টেকনলোজিস্ট রিপা খাতুনকে অজ্ঞান করে সোনার গহনা ও মোবাইল ফোন লুটপাটের ঘটনায় অন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টির তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসেট ও সোনার অলংকার উদ্ধার করা হয়েছে। আদালতে হাজির করা হলে তারা এই ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
আটক তিনজন হলো, নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া গ্রামের পূণর্বাসন কেন্দ্রের কামাল হোসাইনের ছেলে মাসুদ রানা (২৮), খোকনের ছেলে রাকিব হোসেন (২৪) এবং সিরাজুল ইসলামের ছেলে জাকির হোসেন (৩৫)।
ডিবি পুলিশের এসআই শামীম হোসেন জানিয়েছেন, গত ১ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে যশোর শহরের মণিহার আবাসিক হোটেল থেকে ওই তিনজনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা এক পর্যায়ে স্বীকার করে রিপা খাতুনকে অজ্ঞান করে নগদ টাকা ও সোনার গহনা এবং মোবাইল ফোনসেট নিয়ে যায়। পরে তাদের কথা মতো নারায়ণঞ্জের রুপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া এলাকায় মাসুদ রানা ভাড়া বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে চোরাইকৃত একটি সোনার চেইন, দুই জোড়া কানের দুল ও একটি সোনার আংটি উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও মাসুদ রানার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়।
এসআই শামীম হোসেন আরো জানিয়েছেন, আটক আসামিদের স্থায়ী কোন বাড়ি বা ঠিকানা নেই। তারা সারা দেশে বিভিন্ন বাড়ি ভাড়া করে বা হোটেলে থেকে সুযোগ বুঝে মানুষকে চেতনা নাশক দ্রব্য সেবন করিয়ে টাকা, সোনার গহনা, সোবাইল ফোনসেটসহ মূল্যবান জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়। এটিই তাদের পেশা। এরা বাইরে এরা অন্য কোন কাজ করে না।
তাদের তিনজনকে আটকের পরে গতকাল রোববার আদালতে হাজির করা হলে ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
এরআগে রিপা খাতুন গত ৭ এপ্রিল ডিউটি শেষের বিকেল সোয়া চারটারদিকে দিকে হসপিটাল থেকে ঘোপ জেলা রোডের ভাড়া বাড়িতে ফিরছিলেন। সে সময় বাড়ির সামনে অজ্ঞাত কিছু লোকজনকে দেখতে পান। তারা তার কাছে গিয়ে কিছু ওষুধ বিক্রির কথা বলে। তিনি প্রথমের রাজি না হলেও পরে তাদের জোরাজুরিতে রাজি হন। সে সময় একজন তার নাকের কাছে একটি স্প্রে করে। সে সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে ওই ব্যক্তিরা তার শরীর থেকে ও পার্টস থেকে সোনার অলংকার, একটি মোবাইল ফোনসেট, নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ ২ লাখ ৩৬ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। তার পার্টসে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রও নিয়ে যায়। পরে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়ারা তাকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কুইন্স হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে তিনি কিছুটা সুস্থ্য হয়ে তিনি বাড়ির লোকজনকে জানিয়ে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করেন।
