পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকে তারা সব জানালা ভেঙে ফেলেছে। দেয়ালে সরকারের বিরুদ্ধে নানা বার্তা স্প্রে করে লিখে দেওয়া হয়েছে। এক দেয়ালে লেখা হয়েছে—‘তুমি [সরকার] ভুল লড়াই বেছে নিয়েছ’।
কল্যাণ ডেস্ক
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে শত শত বিক্ষোভকারী দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশ করে অগ্নিসংযোগ করেছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) চলমান জেন-জি নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি ভবন ‘শীতল নিবাসে’ও আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। ভবনের একটি অংশ থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা গেছে। এ সময় পুড়িয়ে হত্যা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঝলানাথ খানালের স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী ছব্বাকারকে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, জেন-জিদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভকারীরা রাজধানী কাঠমান্ডুর ডল্লু এলাকার তাদের বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দিলে তিনি ভেতরে আটকা পড়েন।
পরিবারের সূত্র জানিয়েছে, রাজ্যলক্ষ্মীকে দ্রুত কীর্তিপুর বার্ন হাসপাতালে নেওয়া হলেও চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, পার্লামেন্ট ভবনে আগুনের বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেল আরোহীরা পার্লামেন্ট ভবন চত্বরে ঘোরাফেরা করছে। কেউ কেউ বাগান থেকে গাছপালা উপড়ে নিয়ে যাচ্ছে, আবার কেউ ভেতরের ছবি ও আসবাবপত্র সরিয়ে নিচ্ছে। পার্লামেন্টের প্রবেশপথে জ্বালানো আগুনের চারপাশে পতাকা হাতে স্লোগান দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা।
পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকে তারা সব জানালা ভেঙে ফেলেছে। দেয়ালে সরকারের বিরুদ্ধে নানা বার্তা স্প্রে করে লিখে দেওয়া হয়েছে। এক দেয়ালে লেখা হয়েছে—’তুমি [সরকার] ভুল লড়াই বেছে নিয়েছ’।
বিক্ষোভকারীদের হামলার শিকার হয়েছে সিংহ দরবার, সুপ্রিম কোর্ট, স্পেশাল কোর্ট, জেলা আদালত, অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তর, ভূমি রাজস্ব অফিসসহ রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ও কার্যালয়।
সরকারি দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে জনতা। সোমবারের রক্তক্ষয়ী অভিযানে ১৯ জন নিহত হওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা কারফিউ অমান্য করে রাজপথে নেমে আসছে।
দুর্নীতি, সরকারি নিষেধাজ্ঞা ও রক্তক্ষয়ী অভিযানের বিরুদ্ধে চলমান এই আন্দোলনে সরকারবিরোধী স্লোগান, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ অব্যাহত রয়েছে।„