মহিউদ্দিন সানি, নরেন্দ্রপুর, যশোর: বোরো আবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের কৃষকরা। জমিতে সেচ, হাল চাষ, সার প্রয়োগ শেষে বীজতলা থেকে চারা এনে রোপণ করছেন তারা। দীর্ঘদিন ধানের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এবার কৃষক আমনের দাম ভালোই পেয়েছেন। এবার বেশি লাভের আশায় তারা আদর্শ বীজতলা করে ভালোমানের চারা তৈরি করেছে।
যশোর সদর উপজেলার জিরাট গ্রামের চাষি ফারুক বিশ্বাস বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে ধানের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছে আমাদের। এবার আমন চাষে করে আমরা লাভবান হয়েছি। সেই আশায় পুরোদমে আবার বোরো আবাদ শুরু করে দিয়েছি। বোরো ধান লাগাতে দিন-রাত পরিশ্রম করতে হয়। এছাড়া বোরো আবাদে খরচও বেশি হয়। বোরো ধান লাগানোর পর থেকে তিন-চার দিন পর পর সেচ দিতে হয়। এ বছর চারা রোপণের আগেই বৃষ্টি হওয়ায় সেচ খরচ কমবে। আশা রাখি বোরো আবাদ হলে বেশি লাভবান হবো।
তিনি বলেন, আমন চাষে প্রতি একরে প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ মণ ধানের ফলন ও মূল্য প্রতিমণ ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে এবার আগ্রহ বেড়েছে। বোরো মৌসুমে একর প্রতি দেশি ৭০মণ ও হাইব্রিড ৮০মণ ধানের ফলন আশা করছেন কৃষকরা।
এ দিকে সকালের শীত উপেক্ষা করে কাঁকডাকা ভোরবেলা থেকে সন্ধ্যা অবধি বোরোর জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কেউ বা জমিতে হালচাষ দিচ্ছেন। কেউ জমির আইলে কোদালপাড়া দিচ্ছেন কিংবা জমিতে জৈব সার বিতরণ কাজে ব্যস্ত। অনেকেই এখন বীজতলা থেকে চারা তুলে তা রোপণ করছেন।
গত আমন মৌসুমে ব্রি-জাতের সোনার বাংলা, ব্রি -২৮, ব্রি -৫১, জিরাশাইল ধানের ফলন ও বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমে আবাদ করতে এ অঞ্চলের কৃষকরা বেশি আগ্রহী।