নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের কাঁঠালতলা রায়পাড়ায় আটক রেখে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে চাঁদা দাবির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। সদরের বড় বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের রেজাউল ইসলামের মেয়ে ও ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী শারমিন খাতুন (৩০) এ মামলা করেন। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করে। মামলার আসামিরা হলো কাঁঠালতলার মাসুম (৩০), হাসান (২৬), রাহুল (২০) ও পিন্টু (২২)।
মামলায় শারমিন খাতুন বলেন, আমার ছোট ভাই ইমনের সাথে ফয়জুল খন্দকারের মেয়ের মোবাইলে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সুবাদে তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিডের মাধ্যমে বয়স সংশোধনের মাধ্যমে বিয়ে করে। ফয়জুল খন্দকার মেয়েকে খুঁজে না পাওয়ায় জিডি করে। র্যাব আমার পিতার বাড়ি নেহালপুর থেকে তাকে উদ্ধার করে। গত ৩ জুন ফয়জুল খন্দকার আমার পিতার মোবাইলে ফোন করে বিষয়টি মীমাংসার জন্য তাদের বাড়ি যেতে বলে। আমরা ৪ জুন সকালে যায়। সেখানে যাওয়ার পর তাদের সাথে আপোষ মীমাংসার কথা হয়। এক পর্যায়ে আমাদেরকে খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদান করে। আসামি মাসুম আমাদের কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায আমার স্বামী ইব্রাহিমকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারে। আসামি হাসান আমার স্বামী ইব্রাহিমের গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। উদ্ধারের জন্য এলাকার পরিচিত লোকদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। এক পর্যায়ে নেহালপুর ইউনিয়নের মেম্বার সোহরাব হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জাতীয় জরুরি সেবায় কল করলে পুরাতন কসবা ফাঁড়ি পুলিশ ৪ জুন সন্ধ্যায় আমাদেরকে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর আমরা কোতোয়ালি থানায় মামলা করি।
