নিজস্ব প্রতিবেদক
‘আয়নাবাজি’ সিনেমার মতো যশোরে আসামি মামার পরিবর্তে ভাগ্নে কারাগারে যাওয়ার ঘটনায় সেই মামা-ভাগ্নের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। বৃহম্পডিতবার যশোরের অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোজাফফর হোসেন কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, সদর উপজেলার বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মন্টুর ছেলে হাসান এবং একই গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে তার ভাগ্নে শামীম আহমেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, যশোর আর্মি মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থী দম্পতির বাড়িতে গিয়ে চাঁদাবাজি, হামলা, মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় ৭ জনের নামে মামলা হয়। ওই মামলার ৫ নম্বর আসামি ছিলেন হাসান।
গত ২১ অক্টোবর বেলা ১২টার দিকে আসামি শামীম আহমেদ নিজের নাম গোপন রেখে মামা হাসানের পরিচয়ে অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর সোহেল রানার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সন্ধ্যায় কোর্ট পুলিশ শামীমকে কারাগারে নিয়ে যায়।
কারাগারে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও তথ্য যাচাইয়ের সময় কর্তৃপক্ষ তার কথাবার্তায় অসংলগ্নতা লক্ষ্য করে সন্দেহ করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট যাচাই করলে জানা যায়, সে প্রকৃতপক্ষে হাসান নয়, বরং তার ভাগ্নে শামীম আহমেদ। তদন্তে জানা যায়, আসামি হাসান বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন, আর তার পরিবর্তে ভাগ্নে শামীম নিজেকে মামা হাসান পরিচয় দিয়ে কারাগারে যেতে চেয়েছিলেন। পরবর্তীতে শামীম নিজেই জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেন। এ ঘটনার পর সিনিয়র জেল সুপার আবিদ আহমেদ লিখিতভাবে বিষয়টি চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে জানান। এর ভিত্তিতে বেঞ্চ সহকারী মোজাফফর হোসেন প্রতারণা ও জালজালিয়াতির অভিযোগে হাসান ও শামীমের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, নতুন জালিয়াতি মামলায় শুক্রবার শামীমকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।

 
									 
					