নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ছয় মাসে যশোরে প্রায় ১৩৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতে পাচারের সময় বিজিবি, পুলিশ এবং র্যাব সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করেছে। গতকাল রোববার জেলার মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এ সব তথ্য জানানো হয়। এসময় স্বর্ণ ও মাদক চোরাচালানের মূল হোতাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে আরো সচেষ্ট হওয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা কমিটি ও সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, স্বর্ণ, মাদকের মামলাগুলো ফলোআপ এবং এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের সাথে সভা করে স্বর্ণ ও মাদক চোরাকারবারীদের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভা থেকে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চারপাশে ১০০ গজের মধ্যে কোন বিড়ি-সিগারেটের দোকান না থাকার পূর্বের নির্দেশনা বাস্তবায়ন ও তদারিকর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সভায় গত নভেম্বর মাসে অপরাধ ও মামলার সংখ্যা উপস্থাপন করা হয়। এতে বলা হয় চলতি বছরের অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বর মাসে সংঘটিত অপরাধের সংখ্যা কম।
গত অক্টোবর মাসে মোট অপরাধ ও বিভিন্ন ঘটনায় মামলার সংখ্যা ছিলো ৩৩৮টি এবং নভেম্বর মাসে অপরাধ ও মামলার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯১টি। নভেম্বর মাসে ডাকাতির ঘটনায় মামলা হয়েছে তিনটি, সরাসরি কোন হত্যাকাণ্ড না ঘটলেও গত জুন মাসের একটি আত্মহত্যার ময়নাতদন্তে হত্যাকাণ্ড প্রমাণিত হওয়ায় নভেম্বর মাসে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়। এর আগে অক্টোবর মাসে পাঁচটি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ছয়টি। এছাড়া মানব পাচারের তিনটি, অপহরণ পাঁচটি, মাদকদ্রব্য ১৩৫টি, চোরাচালানের মামলা রেকর্ড হয়েছে ১২টি।
গত ২ ডিসেম্বর মণিরামপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে যশোরের সড়কগুলোতে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য সড়কের বাকগুলোতে সাইনবোর্ড ও সড়কে গতিরোধক দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন, যশোর সরকারি এম এম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার, ডেপুটি সিভিল সার্জন নাজমুস সাদিক রাসেল, জেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার সঞ্জয় কুমার সাহা প্রমুখ।