নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি বছরের গত তিন মাসে যশোর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় অর্ধডজন ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে ডাকাতরা হানা দিয়ে টাকা ও বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। ডাকাতদের হাতে একজন নৈশ প্রহরী নিহতও হয়। পরপর বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় মানুষের মনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বশেষ রোববার ভোরে (৩০ অক্টোবর) মণিরামপুর উপজেলার রহিতা ইউনিয়নের নালেরকান্দা গ্রামে এক কৃষকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রশাসনের অনিয়মিত টহল ব্যবস্থা, অপরাধীদের সাথে কতিপয় কর্মকর্তার সখ্যতাসহ নানা কারণে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে।
সর্বশেষ রোববার (৩০ অক্টোবর) জেলার মণিরামপুর উপজেলার নালেরকান্দা গ্রামে ভান্ডারি মোড় সংলগ্ন কৃষক কাশেম আলীর বাড়িতে ডাকাতি হয়। রোববার ভোরে ৭/৮ জনের একদল ডাকাত কাশেম আলীর বাড়িতে হানা দেয়। ডাকাতরা বাড়ির গ্রিল ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারপিট করে ১৫ হাজার টাকা, কয়েকভরি স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়।
এর আগে ৩ আগস্ট দিবাগত রাতে মুড়লী মোড়ে ‘খাদিজা এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি লুব্রিকেন্টের দোকানের তালা কেটে ৭ লাখ ৯০ হাজার ২০০ টাকার মালামাল ডাকাতি হয়। ১৩ আগস্ট দিবাগত রাতে ঝিকরগাছা উপজেলার ঝিকরগাছা বাজারে ৪ জন নৈশপ্রহরীকে মুখে স্কচ টেপ পেঁচিয়ে ও হাত বেঁধে কৃষ্ণনগর রাজাপট্টি ‘ঝিকরগাছা অটো ইলেক্ট্রনিক্যাল ওয়ার্কশপ’ নামক দোকানের তালা কেটে দোকান থেকে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ব্যাটারি লুট করে নিয়ে যায় একদল ডাকাত। এদিকে মুখে স্কচ টেপ পেঁচানো নৈশপ্রহরীদের মধ্যে আব্দুস সামাদ (৭৫) নামের একজন অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয় হাসপাতালে তাকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিকরগাছায় ডাকাতির আগে ও পরে যশোর শহরের যুব উন্নয়নের গেট-সংলগ্ন জনৈক টিটো সিকদারের ‘সিকদার মটরস’ নামক মোটর পার্টসের দোকান থেকে ৩৭ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল ডাকাতরা নিয়ে যায়। এ ছাড়া বকচর এলাকায় ‘মেসার্স কর্ণফুলী ট্রেডার্স’ নামক টায়ারের দোকান থেকে ১৬ লাখ ৭২ হাজার ৫০০ টাকার মালামাল ডাকাতি হয়। পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা, অনিয়মিত টহল ব্যবস্থাসহ নানা কারণে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে বলে সূত্রগুলি দাবি করেছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে পুলিশের মিডিয়া সেলের মুখপাত্র ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকারের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।