নেংগুড়াহাট প্রতিনিধি
বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু ও মুক্তিযোদ্ধা ভাসমান সেতু হতে যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা গ্রামের পিচের রাস্তা পর্যন্ত সংযোগ সড়ক দুটি পাকাকরণের জন্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যরে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন দর্শনার্থীরা।
ঝাঁপার পিচের রাস্তা হতে দুই ভাসমান সেতুতে আশা যাওয়ার জন্য অল্প দূরত্বের এই মাটির রাস্তা দুটি বর্ষা মৌসুমে যেমন হাটু সমান কাঁদায় পরিণত হয়, তেমনি শুকনো মৌসুমে ধুলায় ভরে যায়। যার কারণে দর্শনার্থীদের আসা যাওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
২০১৭ সালে স্থানীয়দের দুর্দশা লাঘবে মালয়েশিয়া প্রবাসীসহ শতাধিক যুবক কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম সেতুটি নির্মাণ করেন। যেটি তৎকালীন জেলা প্রশাসক উদ্বোধন করায় সেটির নামকরণ করা হয় জেলা প্রশাসক সেতু। যা বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা ভাসমান সেতু নামে পরিচিত। এর দু-বছর যেতে না যেতেই এই সেতুর হাফ কিলোমিটার অদূরে বাঁওড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে আরো একটা ভাসমান সেতু তৈরি করেন ঝাঁপা গ্রামের কিছু যুবক। যার নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু। যা উদ্বোধন করেন বর্তমান পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এই সেতু দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ সকল প্রকার ছোটখাটো যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে প্রতিনিয়ত হাজারো দর্শনার্থী ভাসমান সেতু দুটিতে পরিদর্শনে আসে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে, বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতু থেকে ঝাঁপা গ্রাম পাড়ের পিচের রাস্তা পর্যন্ত সংযোগ সড়ক সামান্য এক কিলোমিটার মাটির রাস্তা রয়েছে। একইভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাসমান সেতু থেকে পিচের রাস্তা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার মাটির রাস্তা। দর্শনার্থীদের যাতায়াতের ভোগান্তির লাঘবে মাটির এই রাস্তা দুটি পাকাকরণের জন্য পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন দর্শনার্থীসহ এলাকাবাসী। বঙ্গবন্ধু ভাসমান সেতুর সভাপতি আব্দুল জলিল সরদার ও মুক্তিযোদ্ধা ভাসমান সেতুর সভাপতি দিলীপ কুমারসহ এলাকাবাসী বলেন, এ এলাকার ডিজিটাল রূপকার হলেন প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। তাই এলাকাবাসীর দাবি তিনি এই সড়ক দুটি পাকাকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে এলাকাবাসীর মুখে হাসি ফোটাবেন।