নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ এনে যশোর সদরের রূপদিয়া ওয়েলফেয়ার একাডেমি স্কুলের নিয়োগ পরীক্ষা চলার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর নিয়োগ বোর্ড বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের রুপদিয়া ওয়েল ফেয়ার একাডেমি স্কুলের দুইটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা ছিলো। একটি সহকারী প্রধান শিক্ষক ও অন্যটি নিরাপত্তা প্রহরী। দুপুর ১২ টায় নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। এর আগে সকাল ১১ টায় ৫ সদস্যের নিয়োগ বোর্ড তাৎক্ষনিক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। নিয়োগ বোর্ডের প্রধান ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু সময় পর নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদের নেতৃত্বে একদল উচ্ছৃংখল যুবক স্কুলে হামলা চালায়। তারা মিথ্যা অভিযোগ তোলে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এ বিষয়ে নিয়োগ বোর্ডের প্রধান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর জানান, আমরা উপস্থিত ৫ জন তাৎক্ষনিক প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা শুরু করি। এখানে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন সুযোগ নেই। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু সময় পর নীচে হৈ চৈই শুনতে পায়। কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর বলেন তিনি উপরে ছিলেন। এরপর উচ্ছৃংখল কিছু লোকজন স্কুলের ক্লবসিবল গেট ভাঙ্গার চেষ্টা করে ও কিছু লোকজনকে মারপিট করে। পরিস্থিতি উপ্তত্ত হওয়ায় জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পরে কামরুজ্জামান জাহাঙ্গীর জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে আলোচনা করে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেন।
এবিষয়ে নরেন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন রুপদিয়া ওয়েল ফেযার একাডেমি স্কুলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাধ্যমে পরীক্ষা হচ্ছে। এখবর শুনে তিনি স্কুলে আসেন। স্কুলে এসে দেখেন গেট বন্ধ। গেট খুলতে বললেও কেউ গেট খোলে না। প্রায় দেড় ঘণ্টা তিনি গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে থানা পুলিশ ও নরেন্দ্রপুর ফাড়ি পুলিশ আসলে গেট খোলা হয়। গেট খোলার পর তিনি ভিতরে ঢোকেন। চেয়ারম্যানের পছন্দের প্রার্থী নিয়োগ না দেয়ায় হামলা চালানো হয়েছে এ অভিযোগ চেয়ারম্যান রাজু অস্বীকার করে বলেন, তার কোন প্রার্থী নেই। যারা বলেছে তারা ঠিক বলেনি।