নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত এবং মোট উৎপাদিত ধানের দুই-তৃতীয়াংশ সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহসহ বিভিন্ন দাবিতে সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি যশোর জেলা শাখা।
দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি আবুল কাসেম মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হক লিকু ও জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আশুতোষ বিশ্বাস প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান অধিকমূল্য সার-বীজ-কীটনাশক তথা কৃষি উপকরণ বিক্রয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তাকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহবান জানান। এসময় তিনি ভেজাল সার, ওজনে কারচুপি রোধে পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে বলে জানান। স্মারকলিপি দেওয়ার সময় নেতৃবৃন্দ শহরের দক্ষিণাংশে বিল হরিণা জলাবদ্ধতা সমস্যার ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগী হওয়ার আহবান জানান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন পরিস্থিতি বিশ্বে খাদ্য সঙ্কটকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এ বাস্তবতায় দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট ও চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে একমাত্র দেশের কৃষক ও কৃষি খাত খাদ্য নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে। অথচ কৃষকেরা সরাসরি সরকারি প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত ও অবহেলিত। যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষি পণ্য বিপণনকারীদের সুবিধা প্রদান করে কৃষককে সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে যে স্লোগান তোলা হয় তার ফলে কৃষক মূলত উপকৃত হয় না। স্বল্প সুদে যে ঋণ সুবিধা দেওয়া হয় তা নামমাত্র এবং তারও উল্লেখযোগ্য অংশ মূলত কৃষকের হাতে পৌঁছায়নি। চলতি মৌসুমে উৎপাদনের উপকরণের (সার-বীজ-কীটনাশক-জমির লীজমূল্য-পনি সেচ খরচ ইত্যাদি) মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় সকল জায়গায় সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত মূল্যে রাসায়নিক সার বিক্রয় হয়েছে। তেমনি বাজার ছিল ভেজাল রাসায়নিক সারে সয়লাব। এর সাথে যুক্ত হয়েছে প্রাকৃতিক বিপর্যয়। এ সকলসহ সামগ্রিক কারণে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য চলতি মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষককে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং ভূমিহীন গরীব কৃষকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়।