নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় প্যাডে ‘এসএসসি ফ্রেন্ডস ৮৭’ ব্যাচের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়ার একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে বইছে তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়।
দলীয় প্যাডে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক বহির্ভূত এমন কমিটি অনুমোদন দেওয়ায় ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জেলা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের ইতিহাস ঐতিহ্য ম্লানের অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অনেকে দাবি করেছেন। তবে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা বলছেন, প্রথমে এসএসসি ব্যাচের ওই কমিটি ভুল করে অনুমোদন দেওয়া হলেও সেটি বাতিল করা হয়েছে।
গত ১৬ অক্টোবর যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন ও সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে ‘এসএসসি ফ্রেন্ডস ৮৭’ ব্যাচের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফউদ্দিন আহম্মেদকে সভাপতি ও শহরের রড সিমেন্ট ব্যবসায়ী আরিফুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
দলীয় প্যাডে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী তিন বছরের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হলো। আপাতত সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হলো। প্রায় দেড় মাস আগে এই কমিটি অনুমোদন দেয়া হলেও এতো দিন সেটি প্রকাশ্যে আসেনি। গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমিটি অনুমোদনের চিঠিটি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় বইছে।
অনেকেই কমিটি অনুমোদন দেওয়ার চিঠিটি ফেসবুকে পোস্ট করে সমালোচনা করছেন। পোস্টে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাদের দায়িত্ব জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এখই সাথে বিষয়টি খোদ ক্ষুব্ধ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল মজিদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জেলা আওয়ামী লীগ এই কমিটি অনুমোদন দিতে পারে না। তারা অন্যায় অনৈতিক কাজ করেছে। কমিটির কাউকে জানানোও হয়নি।
জানানো হলেও গঠনতন্ত্রে এটা করার সুযোগ নেই। তাদের এই কাজের অনেকেই সমালোচনা করছেন। যখন জেলা আওয়ামী লীগে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা হবে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে নিয়মবহির্ভূত এই কাজের জবাব চাইবো।’
এসএসসি ফ্রেন্ডস ৮৭ সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সাইফউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, এসব সংগঠনগুলো বিএনপিতে রয়েছে; কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল আওয়ামী লীগে নেই।
আমাদের এই কমিটিতে যারা বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী তাদেরকে একছাতায় আনতে এই উদ্যোগ। আমাদের এই আংশিক কমিটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনুমতি দিয়েছে। প্রতিটি কাজের পক্ষ বিপক্ষে থাকবে। এটা নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই।
এই বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন বলেন, প্রথমে আমরা কমিটি অনুমোদন দিয়েছিলাম। না বুঝেই এই কাজটি করেছি। পরে কমিটি বাতিল করা হয়েছে বলে দাবি জেলা আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতার।