কল্যাণ ডেস্ক
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়টি ফের অনিশ্চয়তায় পড়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন থাকলেও তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় মেডিকেল বোর্ডের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বিদেশযাত্রা।
শুক্রবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “বর্তমান শারীরিক অবস্থায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টার দীর্ঘ বিমান ভ্রমণ তিনি সহ্য করতে পারবেন কি না—এটাই চিকিৎসকদের প্রধান উদ্বেগ।”
তিনি আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ড এক দফা ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিলেও হাই-অলটিটিউডে বিমানের চাপ খালেদা জিয়া সহ্য করতে পারবেন কি না—সে বিষয়টি নতুন করে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। সবকিছু নির্ভর করছে তার শারীরিক অবস্থার ওপর।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “তার শরীরই বলে দেবে কবে তাকে বিদেশে নেওয়া যাবে। মেডিকেল বোর্ড তার শারীরিক অবস্থাকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।”
এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রসঙ্গে তিনি জানান, কাতারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার চেষ্টা চালানো হলেও এটি মূল বিষয় নয়। বিদেশ যাত্রার সব সিদ্ধান্তই মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশ অনুযায়ী হবে।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো নানা গুজব প্রসঙ্গে সতর্ক করে ডা. জাহিদ বলেন, “গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।”
গত ২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন খালেদা জিয়া। ২৭ নভেম্বর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়। বর্তমানে দেশের পাশাপাশি লন্ডন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা তদারকি করছে।
দীর্ঘদিন ধরেই লিভার সিরোসিস, কিডনি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, ফুসফুস ও চোখসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া। ২০২৪ সালের জুন মাসে তার হৃদপিণ্ডে পেসমেকারও বসানো হয়।
