এ্যান্টনি অপু: পেট্রোল এবং পানি দিয়ে বৈদ্যুতিক উপায়ে উৎপন্ন করা যাবে লিকুইড প্রিমিয়াম গ্যাস। শুনতে অবাক লাগলেও এমন একটি প্রজেক্ট উদ্ভাবন করেছে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রাম গোপাল বহুমুখী বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী।
ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির অর্ণব, শাহেদ ও বিথি এমন উদ্ভাবনী একটি প্রজেক্টটি তৈরি করেছেন। যেটা তৈরিতে সার্বিক সহোযোগিতা করেছেন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাখাওয়াত হোসেন।
শনিবার সকালে যশোর টাউন হল মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় এ উদ্ভাবনটি প্রদর্শনী করা হয়। প্রজেক্টটি আকর্ষনীয় হওয়ায় অনেকেই দেখতে ভিড় করছেন ওই স্টলে।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটি বোতলে পানি এবং অন্য একটি বোতলে পেট্রোল নেয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্যবহার করা হয়েছে ট্রান্সফরমার, এয়ারপাম্প মোটর, ক্যাপাসিটর। দেয়া হয়েছে বিদুৎ সংযোগও। এ সকল ইকুইপমেন্টের সাথে সংযোগ দেয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক তার এবং প্লাস্টিকের পাইপ। একটি পাইপের শেষ প্রান্ত দিয়ে নির্গত হচ্ছে লিকুইড গ্যাস। যেখানে দিয়াশলায়ের কাঠি জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ দিলে জ্বলছে আগুন।
উদ্যোক্তা অর্ণব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে গ্যাসের সংকট। প্রতিনিয়ত জ্বালানি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য আমরা এ পদ্ধতিটি উদ্ভাবন করেছি। যার মাধ্যমে মানুষ স্বল্প খরচে জ্বালানি গ্যাস উৎপাদন করতে পারবে এবং তা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা যাবে। যেহেতু এটা তৈরি করতে বিদ্যুৎ এবং আগুন প্রয়োজন সেহেতু এটা ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে আমরা শিক্ষকদের সহযোগিতা নিয়েছি।
সহকারী শিক্ষক সাখাওয়াত বলেন, আমরা মনে করছি এটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা আরো গবেষণা করলে কম খরচে পর্যাপ্ত এলপি গ্যাস উৎপাদন করা যাবে এবং গ্যাসের সংকট কমে আসবে।
বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সুমন কুমার কুন্ডু বলেন, বর্তমান সময়ে গ্যাস বিদ্যুৎ দুটোরই চাহিদা বাড়ছে। এলপি গ্যাসের মূল্য বাড়তে বাড়তে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে এ উদ্ভাবনটি আরও গবেষণা কওে কাজে লাগানো। তিনি আরো জানান, ৫০০ গ্রাম পেট্রোল এবং ৫০০ গ্রাম পানিতে প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা এলপি গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব। তৈরি করতে খরচ প্রায় দেড় হাজার টাকা।