খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় এক হাজার ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেছেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ‘শুক্রবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
গ্রেপ্তাররা হলেন, খালিশপুর থানার আলমনগর এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে সোহেল রানা (২০), ২৬ নম্বর ওয়ার্ড ওয়ার্লেস ক্রস রোড এলাকার আহমেদ হোসেন গাজীর ছেলে গাজী সালাউদ্দীন (৪২), রুপসা থানার দেয়াড়া এলাকার মো. আজিজুর রহমানের ছেলে মো. আতাউর রহমান (৪৮), আইচগাতী এলাকার মৃত মখলেছুর রহমানের ছেলে মো. সেকেন্দার শেখ (৬০), বটিয়াঘাটা থানার বাড়োয়াড়িয়া এলাকার মৃত আলতাফ মোল্যার ছেলে মো. শাইখুল মোল্যা (৩৪), লবনচরা থানার হরিনটানা এলাকার মৃত নুরুল হকের ছেলে মো. ওয়াহিদ শেখ (৩২), দাকোপ থানার খেজুরিয়া এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে মো. রাসেল (২৪), সোনাডাঙ্গা থানার বানরগাতী ইসলাম কমিশনার মোড় এলাকার আশরাফ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে রাব্বি চৌধুরী (২৯), দাকোপ থানার গুনারী এলাকার আ. সালাম গাজীর ছেলে মাহবুব গাজী (২৬), রুপসা থানার আইচগাতী এলাকার আব্দুল আজিম উদ্দিন শেখের ছেলে মনিরুজ্জামান মামুন (৪২), সোনাডাঙ্গা থানার ট্রাক স্ট্যান্ড, আব্দুল গনি সড়ক এলাকার আব্দুল জলিল শেখের ছেলে মো. রাজু শেখ (৪১), নগরীর নতুন বাজার ওয়াপদা ভেরীবাধ রোড এলাকার মৃত মো. আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. আলিফ মিলন (৩১) এবং নতুন বাজার খ্রিষ্টানগলি এলাকার মো. আউয়ালের ছেলে মো. রাসেল (২৭)।
শুক্রবার বিকেলে সরকারের পদত্যাগ, মামলা ও গণগ্রেপ্তার বন্ধসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনা প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে বিএনপি। বিকেলে প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা জড়ো হন। আগে থেকেই সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রাইভেটকারে করে ক্লাবের সামনে আসেন। এ সময় বিএনপি নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকে। বিকেল সোয়া ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। অপরদিকে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করে দলটি।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, ‘সমাবেশে আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। বক্তব্য দিতে দেয়নি। উল্টো আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। হামলা-মামলা করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দমন করা যাবে না।’