এ্যান্টনি অপু
যশোরে রসুনের দাম এক মাসে চার ধাপে বেড়ে অতঃপর নিম্নমুখি হয়েছে। দেশি, ইন্ডিয়ান ও চায়না রসুনের আমদানি কম থাকায় গত এক মাসে চার ধাপে দাম বৃদ্ধি পায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি ও বাজারে রসুনের সরবরাহ কম থাকায় রসুনের দাম বৃদ্ধি পায়। তবে গত তিন-চারদিনে বাজারে রসুনের সরবরাহ এবং চায়না ও ইন্ডিয়ান রসুনের আমদানি ফের বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীরে ধীরে রসুনের দাম কমতে শুরু করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় যশোরের বড় বাজার ঘুরে দেখা যায় কোন কোন দোকানে রসুনের সরবরাহ নেই। আবার কোন কোন দোকানে রসুন আমদানি করা হয়েছে তবে এখনো বস্তা খোলা হয়নি। ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি রসুনের গত এক মাস আগে কেজি প্রতি দাম ছিলো ৬০ টাকা, এরপর ৭০, ৮৫, ১০০ এবং সবশেষে বেড়ে ১২০ টাকা হয়। গত তিন চারদিনে সরবরাহ বাড়ায় সোমবার বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে। অন্যদিকে চায়না রসুনের এক মাস আগে দাম ছিলো প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। এক মাসে চার ধাপে দাম বেড়ে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছিল। তবে সোমবার বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে।
শহরের আলু পাট্টির রসুন ব্যবসায়ী আব্দুল হক কল্যাণকে বলেন, রসুনের সরবরাহ ছিলো না, ইন্ডিয়ান আর চয়না রসুনের আমদানিও কম থাকায় চার ধাপে দাম বেড়েছিলো রসুনের তবে দাম এখন আস্তে আস্তে নিচের দিকে যাচ্ছে।
রসুন ব্যবসায়ী হাবিব শেখ বলেন, মালের সরবরাহ না থাকলে দাম বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। সরবরাহ কম ছিলো এ কারণে দাম বেড়েছিলো। এখন আবার সরবরাহ ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই রসুনের দামও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে।
ক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, গত একমাসে চার বার রসুন কিনেছি, প্রতি বারে ২০-২৫ টাকা করে বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। তবে এখন দাম কমতে শুরু করেছে। আশা করি খুব শিগগিরই দাম নাগালের মধ্যে আসবে।
আরও পড়ুন: বোরোর অপরিকল্পিত পানি উঠানোর প্রভাব ভূগর্ভস্তরে