চৌগাছা প্রতিনিধি: প্রায় অর্ধশত শূন্য পদ নিয়েই পরিচালিত হচ্ছে চৌগাছা উপজেলার গ্রামীণ নারী-পুরুষের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রম। ফলে সেবা পাচ্ছে না প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। বিপুল সংখ্যক পদ শূন্য থাকায় পরিবার পরিকল্পনা সেবা কার্যক্রম যথাযথভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে স্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম পরিচালনায় রয়েছে সেবা ইউনিট। এ সেবা ইউনিটের মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইট ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, মা-শিশু কল্যাণ কেন্দ্র আর উঠান বৈঠক। উপজেলা কার্যালয়ের পাশাপাশি সাতটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ ইউনিয়ন পর্যায়ে একাধিক ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে।
পরিবার পরিকল্পনা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদসহ মোট ৪১টি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার পদটি শূন্য, মেডিকেল অফিসারের দুইটি পদে বিপরীতে একটি, সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার একটি পদে শূন্য একটি, সহকারী পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার একটি পদে শূন্য একটি, সহকারী পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার একটি পদে শূন্য একটি, ফার্মাসিস্ট দুইটি পদে শূন্য দুইটি, এসএসিএমও পাঁচটি পদের বিপরীতে ০১টি, উপজেলা পরিবার কল্যাণ সহকারীর ৪৩টি পদে শূন্য ১৭টি, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ১২টি পদে শূন্য ছয়টি, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ১১টি পদে শূন্য একটি, এমএলএসএস ১০টি পদের শূন্য দুইটি, আয়া ১২টি পদে শূন্য পাঁচটি।
উপজেলা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা পদে জনবল সংকটের কারণে পরিদর্শিকাদের অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এক একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকাকে দুইটা/তিনটা ইউনিয়নবাসীকে সেবা দিতে হয়।
জগদীশপুর ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা শামীমা ইয়াসমিন বলেন, লোকবল সংকটের কারণে আমার জগদীশপুর, হাকিমপুর ও সুখপুকুরিয়া এই তিনটি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে সেবা দিতে হয়। যা খুবই কষ্টকর।
স্বরুপদাহ ইউনিয়নের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নাছিমা খাতুন বলেন, লোকবল সংকটের কারণে আমাকে স্বরুপদাহ ও পাতিবিলা ইউনিয়নের মানুষকে সেবা দিতে হয়। দুই ইউনিয়নে সেবা দিতে গিয়ে আমাদের হিমসিম খেতে হয়।
চৌগাছা উপজেলার পরিবার পরিকল্পনার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ডা. তন্বী বিশ্বাস জানান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ ৪১টি পদ শূন্য থাকায় উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা কার্যক্রম পরিচালনায় চরম সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। জনবল নিয়োগ হলে এ সমস্যা কেটে যাবে।