নিজস্ব প্রতিবেদেক, ঝিনাইদহ
‘প্রকৃত ভদ্রলোক সেই, যে ধুপমান থেকে বিরত থাকে’ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডেফলবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরে বিনামূল্যে এমন দেয়াল লিখন লিখেছিলেন পরিবেশবিদ জহির রায়হান। কিন্তু তা পছন্দ হয়নি ওই বিদ্যালয়ের ধুমপায়ী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের। তাই দেওয়াল লিখনের পরের দিনই তা মুছে দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই না আল-কোরআন’র বানি, শেখ সাদি’র বানিও মুছে দিয়েছেন তিনি।
ঝিনাইদহের পরিবেশবিদ জহির রায়হান জানান, ডেফলবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের সীমানা প্রাচীরে তিনি নিজের টাকা খরচ করে দেয়াল লিখন লিখেছিলাম। এলাকার মানুষ, শিক্ষার্থীসহ ওই সড়কে যাতায়াতকারী মানুষকে সচেতন করার জন্য। তিনি আল কোরআনের বানী, শেখ সাদির বানী লিখেছিলেন। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য মানুষকে সচেতন করতে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করে দেওয়াল লিখন লিখেছিলেন। সেইসাথে লিখেছিলেন ‘প্রকৃত ভদ্রলোক সেই, যে ধুপমান থেকে বিরত থাকে’। যাতে করে বিদ্যালয়ের কোশলমতি শিক্ষার্থীরা ধুমপান থেকে দূরে থাকে। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু করে ২ দিন ধরে তিনি ওইসব বাণী লিখেছিলেন। কিন্তু তা পছন্দ হয়নি ওই বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের। তাই লেখার পরদিনই তিনি সব মুছে দিয়েছেন।
জহির রায়হান বলেন, ওই দেওয়াল লিখন লিখতে কমপক্ষে ৩ হাজার টাকা লাগতো। কিন্তু আমি নিজের টাকা খরচ করে লিখে দিয়েছিলাম। কিন্তু উনাদের পছন্দ হয়নি বলে মুছে দিয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক চেইন স্মোকার। তিনি প্রচুর ধুমপান করেন। এমনকি বিদ্যালয়ে বসেও ধুমপান করেন। বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে ওমন দেওয়াল লিখন তার আত্মসম্মানে লেগেছে মনে হয়। কারণ তিনি সিগারেট খান, তাই তিনি ওগুলো মুছে দিয়েছেন।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্কুলের দেওয়ালে কে কখন কি লিখল তা আমার দেখার বিষয় না, আমরা স্কুল থেকে নিজস্ব ডিজাইন করে দেয়াল লিখন লিখব বলে বাইরের লোকের লেখা মুছে দিয়েছি।