নিজস্ব প্রতিবেদক
ইজিবাইক ছিনতাইচক্রের পাঁচসদস্যকে আটক করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের কর্মকর্তারা। মাগুরা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কেকানিয়া গ্রামের রাফি শেখ রাব্বি, ঘোড়াদিয়া গ্রামের আশিকুর রহমান শাকিল, মাগুরা সদর উপজেলার খালিয়া গ্রামের আমিনুর ইসলাম, এমেছ লস্কর ও সাতদোহাপাড়া গ্রামের নাইমুল ইসলাম। এসময় পিবিআইএর উপস্থিতি টের পেয়ে এ চক্রের আরও দুই সদস্য মাগুরার বিনোদপুর গ্রামের বাবু শেখ ও এরশাদ শেখ পালিয়ে যায়। এই সাতজনের বিরুদ্ধে মণিরামপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পিবিআই জানিয়েছে, আটককৃত ও পলাতক আসামিরা একটি চক্র। যশোরের বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক ছিনতাই করে বেড়ায়। প্রথমে যাত্রীসেজে ইজিবাইকে উঠে চালকের সাথে গড়ে তোলে সুসম্পর্ক। কথার ছলে পানি কিংবা জুসের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় চালককে। এরপর অচেতন হয়ে পড়লে চালকককে রাস্তায় ফেলে ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেন তারা। এখানেই শেষ না, ওই ইজিবাইক শোরুমে তুলে জাল কাগজপত্র তৈরি করে তা বিক্রি করে দেন তারা। যশোরের পিবিআই কর্মকর্তারা মাগুরা থেকে ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের এ পাঁচ সদস্যকে আটকের পর এ তথ্য উঠে এসেছে। একই সাথে উদ্ধার করা হয়েছে ছিনতাইকরা ছয়টি ইজিবাইক।
পিবিআই যশোরের এসআই রেজওয়ান জানিয়েছেন, মণিরামপুরের একটি ইজিবাইক ছিনতাই হয়। এঘটনায় পিবিআই যশোরের অফিসে অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা। এরপর তারা অনুসন্ধান চালায়। একপর্যায় মাগুরা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচ আসামিকে আটক করা হয়। এবং একই সাথে ওই ইজিবাইকগুলো উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই আরও জানায়, এই চক্রের মধ্যে রাব্বি ও শাকিলসহ আরও কয়েকজন যশোর জেলার মণিরামপুর ও কেশবপুর এলাকা থেকে ইজিবাইক ছিনতাই করে সরাসরি চলে যায় মাগুরায়। পরে সেসব ইজিবাইক আমিনুর ও এমেছের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা একসাথে ওইসব পুরাতন বাইক গুলো নাইমুলের শিকদার অটো হাউজে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জালকাগজপত্র তৈরী করে চোরাই বাইক বৈধ বলে বিক্রি করে।
এদিকে, একটি ইজিবাইকের মালিকের সন্ধান পেলেও অপর পাঁচটি ইজিবাইকের মালিককে খুঁজছে পিবিআই যশোরের সদস্যরা। খোয়া যাওয়া ইজিবাইক ফিরে পেতে পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ নিয়ে পিবিআই অফিসে যোগাযোগের আহবান জানিয়েছেন পিবিআই কর্মকর্তারা।