কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
অসময়ের বৃষ্টিতে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন নিয়ে শঙ্কার মুখে পড়েছে মোবারকগঞ্জ চিনিকল কর্তৃপক্ষ। ফলে নির্ধারিত দিনে উদ্বোধন হচ্ছে না। চলতি মাসের ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে মাঠঘাট তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোবারকগঞ্জ চিনিকল এলাকার আখক্ষেত। এখনো অধিকাংশ ক্ষেত পানির নিচে রয়েছে। যেসব জমি থেকে পানি সরে গেছে সেসব জমির মাটিও নরম রয়েছে। ফলে আগামি ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারিত দিনে মিলটি উদ্বোধন করা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
আখচাষিদের দাবি, পানিতে তলিয়ে থাকা ক্ষেত থেকে আখ কাটা হলে পরবর্তী বছরে মুড়ি রাখা যাবে না। ফলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষক। অন্যদিকে আখ পরিবহনের জন্য রাস্তা উপযোগী না হওয়া মিলে পৌঁছাতে খরচ বেশি পড়ে যাবে।
মিল এলাকার গোবরডাঙ্গা গ্রামের আখ চাষি আব্দুস সালাম মিন্টু জানান, চলতি মাড়াই মৌসুমে তার ৯ বিঘা জমিতে দন্ডায়মান আখ রয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে তার সব আখের জমি তলিয়ে যায়। বৃষ্টির এক সপ্তাহ পার হলেও কোন ক্ষেতই আখ কাটার উপযোগী হয়নি। এখনো দুই সপ্তাহ পর দুই থেকে তিন বিঘা জমির আখ কেটে মিলে দেয়া যাবে।
ঘিঘাটি ইক্ষু ক্রয় কেন্দ্রের কৃষক হুমায়ুন কবির বলেন, চলতি বছর ছয় বিঘা জমিতে আখ রোপণ করেছিলাম। অসময়ের বৃষ্টি আখের সব জমি এখন পানির নিচে। বৃষ্টির কারণে সব আখের চারা নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে জমিতে জোঁ আসলে পুনরায় আমার আখ রোপণ করতে হবে।
মোবারকগঞ্জ চিনিকল আখ চাষি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মন্টু জানান, চাষিদের জমির আখ এখনো কাটার উপযোগী হয়নি। মিল ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং আখ চাষিরাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেটা বিবেচনায় রেখে মিলের মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধনের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ডিজিএম (সম্প্রসারণ) গৌতম কুমার মন্ডল বলেন, আমরা মিল এলাকার চাষিদের জমি পরিদর্শন করেছি। অধিকাংশ জমি পানির নিচেই রয়েছে। এ মুহূর্তে জমি থেকে আখ কাটলে মুড়ি আখের অনেক ক্ষতি হবে। আখচাষিদের দাবি, মুড়ি আখের স্বার্থে মিলটি কয়েকদিন দেরিতে মাড়াই শুরু করার জন্য অনুরোধ করেছেন।