নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে সাবেরুল হক সাবু ও শুক্রবার দুপুরে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বাড়িতে অভিযান চালানো হয়।
একইসাথে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু করে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের আরও ২৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে কোতোয়ালি থানায় ১১, বাঘারপাড়ায় ১১ , ঝিকরগাছায় ৩ এবং শার্শায় ১ জন রয়েছে।
কোতোয়ালি থানায় আটককৃতরা হলেন, নাজির শংকরপুরের শহিদুল ইসলাম মিলন, ঘোপ জেল রোডের নিয়াজ মাহমুদ শিশির, পুরাতন কসবার শাখাওয়াত হোসেন সাকু, মালঞ্চির জুবায়ের রহমান তুষার, ভাতুড়িয়ার শিমুল হোসেন, কচুয়ার নাহিদ হাসান রাজন, রামনগরের আলমগীর হোসেন, মনসেফপুরের বাবর আলী, হাটবিলার জিল্লুর রহমান, কচুয়ার মফিজুর রহমান ও মানিকদিহির আব্দুস সালাম।
বাঘারপাড়া থানায় আটকরা হলেন, পশ্চিমপাড়ার রাকিবুল ইসলাম, পাইকপাড়ার রবিউল ইসলাম, দরাজহাটের আব্দুল মালিক, জামালপুরের সাগর হোসেন, তেঘরির আমিনুর গাজী ও জাকারিয়া হোসেন, মহিরন গ্রামের সাহেব আলী ও ফারুক হোসেন, দোহাকোলার নেকবার আলী, দশপাখিয়ার মাসুম হোসেন ও দয়ারামপুরের সুলতান মোল্লা।
ঝিকরগাছা থানায় আটকরা হলেন, বারাকপুর গ্রামের শাহাজান মোড়ল, পটুয়াপাড়ার রফিকুল ইসলাম ও বেনেয়ালির আবুল হোসেন। শার্শা থানায় আটকএকজন হচ্ছেন, শ্যামলগাছি গ্রামের অসীম মিয়া। শুক্রবার তাদের আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ বিষয়ে যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় তাকে খোঁজ করা হয়। বাড়িতে না থাকায় পুলিশ চলে যায়। শুক্রবার দুপুরেও তার ও অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তখন অমিতের বাড়িতে কেউ ছিলেন না। অমিতকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু না পেয়ে পুলিশ চলে যায়।
বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার বাড়িতে অভিযানের বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, তারা নাশকতা মামলার আসামি। পুলিশের কাছে খবর ছিল তাদের বাড়িতে নাশকতার প্রস্তুতি নিতে লোকজন জড়ো হচ্ছে। ওই খবরের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।