মনিরুজ্জামান মনির: যশোর সদর উপজেলায় ৪শ’ হেক্টর জমিতে করলা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নেই ২শ’ হেক্টর জমিতে করলার চাষ হচ্ছে এ বছর। এ ইউনিয়নের বীর নারায়ণপুর গ্রামে ৪শ’ বিঘারও বেশি জমিতে করলা চাষ হয়েছে।
এছাড়াও ইছালী, কাশিমপুর ও হৈবতপুর ইউনিয়নেও পটল, বেগুন, লাউ, ঢেড়স ও শসার পাশাপাশি চাষ হয়েছে করলারও।
বর্তমানে এলাকার কৃষকরা করলা চাষের জন্য জমি নিড়ানো, আগাছা মুক্ত করা, মাঁচা দেয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিতে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে কৃষকদের। অবশ্য আবহাওয়ার নিয়ে ভয়ে আছে কৃষকরা। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে গাছ নষ্ট হতে পারে এমন শংকাও রয়েছে তাদের মনজুড়ে।
কৃষক আব্দুল মান্নান জানান, এবছর সাড়ে তিন বিঘা জমিতে করলার চাষ করেছি। গাছ খুব ভালো অবস্থায় আছে। কিন্তু এভাবে তাপ হলে গাছ মুড়া মারতে পারে। বিষমুক্ত সবজি চাষের কথা বললে তিনি জানান, কৃষি অফিসাররা যদি সহযোগিতা করে তাহলে বিষমুক্ত সবজি চাষ করবো।
কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, করলা চাষে প্রচুর খরচ। কৃষি অফিসাররা আমাদের সহযোগিতা করলে আমরা বিষমুক্ত সবজি চাষ করতে পারবো। কারণ করলা গাছে ফল আসার আগেই বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১৭ হাজার টাকা। এজন্য আমরা সবসময় কৃষি অফিসারদের পাশে চাই। যাতে আমরা বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। পোকা- মাকড় দমনের জন্য যেন তারা ভাল পরামর্শ দেয়। যাতে আমরা বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ব্যবহারে না ঠকায়।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা সব সময় কৃষকদের পাশে আছি এবং থাকবো। এ বছর সব এলাকায় করলার গাছ খুব ভালো আছে। কিন্তু এভাবে তাপমাত্রা থাকলে ঘনঘন সেচ দিতে হবে। তা না হলে গাছ কোকড়ানো ভাব হতে পারে।
জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার দীপঙ্কর দাস বলেন, তাপমাত্রা এভাবে থাকলে সবজিতে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এসময় কৃষকদের সেচের দিকে নজর রাখতে হবে। আমরা সব সময় কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং কোন প্রকল্প পেলে তাদেরকে দিয়ে থাকি। এ বছরও আমরা বিষমুক্ত সবজি চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করবো। তবে এখনো কোনো প্রকল্প আসেনি।