সাথী তালুকদার, নড়াইল ব্যুরো: নড়াইলের লোহাগড়ার প্রাণকেন্দ্রে লোহাগড়া সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়। এ বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালকে ম্যানেজ করে একমাত্র খেলার মাঠ ও ‘রথখোলা’টি দখল করা হয়েছে। ৪ একর জমির অধিক এ মাঠের শুরুতেই বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে সাবাড় করে, অসংখ্য গাছ কেটে সাবাড় করায় এখন মাত্র ৬টি মধ্যম সাইজের দেবদারু গাছ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে খাল কেটে মাঠের চার পাশে তৈরি করেছে সুউচ্চ মাটির বেড়িবাঁধ। শুধু এটাই শেষ নয়। এর দক্ষিণে সড়ক সংলগ্নস্থানে জেলা পরিষদের বহু জমি। যাতে মাটি কেটে বালু ভরাট করে ‘মার্কেট করার পাঁয়তারা করছে বলে স্থানীয়রা জানান।
সরেজমিনে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের চিহ্নিত প্রভাবশালী কয়েক নেতা খেলার মাঠটি দখল করে বালুর ব্যবসা করবেন। তারা ৪ বছর পর মাঠে বালু ও মাটির বেড়িবাঁধ কেটে মাঠ উঁচু ও সমতলকরণসহ কলেজের বড় পুকুরটি ভরাট করে দেবেন।
সচেতন মহলের প্রশ্ন? অধ্যক্ষ নিয়ম কানুনকে তোয়াক্কা না করে কলেজের একমাত্র খেলার মাঠ ও রথখোলাটি কিভাবে গোপনে ইজারা দিলেন? সাংবাদিক ও সচেতন মহলের কাছে এখন তিনি বলছেন, আমি কিছুই জানি না!
এ প্রসঙ্গে ফয়জুল হক রোম জানান, মাঠটির একাংশে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আমরা বালুর ব্যাবসার পর বেড়িবাঁধের মাটি ও কিছু বালু দিয়ে মাঠটি উঁচু করে তৈরি করে দেব। আর কলেজের মধ্যের বড় পুকুরটি ভরাট করে দেব। মধুমতি নদী থেকে বালু উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে মাঠে করা চাতালের এ স্থানে রাখা হবে।
সূত্র মতে, লোহাগাড়া পৌর শহরের ভিতর সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে এমন একটি কাজ করছে। তাতে ওই এলাকার জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা প্রভাবশালী দখলদার ও তাদের বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলে কিছু বলতে পারছেন না। আওয়ামী লীগ নেতা ফয়জুল হক রোম এ কাজটি করছেন। গোলাম মোর্তজা স্বপন বালুর চাতালটি উদ্বোধন করেন স্বয়ং প্রিন্সিপালের উপস্থিতিতে। এসময় লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সি আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র লোহাগড়া পৌরসভা সৈয়দ মশিয়ুর রহমানসহ অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া অনুরাগীরা এলাকার সচেতন মহল, শিক্ষামন্ত্রী, এমপি মাশরাফি বিন মোর্তজা, জেলা প্রশাসকসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। মাঠটি দখল মুক্ত করে খেলার ও রথের মেলার দ্রুত উপযোগী করে পুকুরটি রক্ষারও দাবি জানিয়েছেন।