নিজস্ব প্রতিবেদক: রেডক্রিসেন্ট যশোর ইউনিটের মুলতবি সাধারণ সভা সোমবার সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে সম্পন্ন হয়েছে। সভায় সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান টুকুন সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন- রেডক্রিসেন্ট যশোর ইউনিট শীতার্তদের মধ্যে কম্বল, করোনাকালে যুবকরা জীবানুনাশক ও মাস্ক বিতরণ করেছেন। করোনার ভ্যাকসিন দিতে চিকিৎসকদের সাথে সর্বদা ছিল রেডক্রিসেন্টের যুব সদস্যরা। বিগত মেয়াদে ৬ হাজার ৪১৭ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করা হয়েছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন আসাদুজ্জামান মিঠু, সানোয়ার আলম খান দুলু, মাহমুদ হাসান বিপু প্রমুখ। আসাদুজ্জামান মিঠু বক্তব্যে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। এরমধ্যে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বিক্রি ও ১৬৪ জনকে গোপনে সদস্যপদ দেয়া উল্লেযোগ্য। যা রেডক্রিসেন্টের নীতিমালার পরিপন্থি। তিনি এই নির্বাচন বাতিল করে ক্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা করে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার দাবি জানান।
যশোর রেডক্রিসেন্টের অন্য পদগুলোতে প্রার্থী না থাকায় সহসভাপতি পদে শহিদুল ইসলাম মিলন, সদস্য পদে খন্দকার মাহফুজুল হক ফারুক, অ্যাড. গাজী আবদুল কাদের, মুস্তাক হোসেন শিম্বা, আক্তারুজ্জামান তুহিন ও মাহমুদ হাসান বিপু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিলেন। এরমধ্যে শহিদুল ইসলাম মিলন সোমবার পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণে দেখিয়ে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্র হাতে পাবার পর চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল সেটি পড়ে শোনান।
এদিকে আসাদুজ্জামান মিঠুর বক্তব্যের পর সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হাসান টুকুনের কাছে লিখিত বক্তব্য চান চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল। সেটি পাবার পর দু’জনের বক্তব্য ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে পাঠাবেন বলে ঘোষণা দেন।