নিজস্ব প্রতিবেদক
দোয়া মাহফিলে দাওয়াত না পেয়ে অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে যশোর সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদের বিরুদ্ধে। রোববার বিকালে ইউনিয়নের রূপদিয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে রূপদিয়া বাজারে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় ফাঁড়ি পুলিশ ও কোতোয়ালি থানার পুলিশ যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা মিথ্যা দাবি করেছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ। আর পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরীর রোগমুক্তি কামনা ও সুস্থতায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ। বাদ আসর রূপদিয়া বাজারের পানপট্টি এলাকায় ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক প্রফেসর আল মাহমুদের সভাপতিত্বে এই দোয়া মাহফিল শুরু হয়। অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ পাশের ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ উপস্থিত হয়ে আয়োজকদের বলেন ‘তোরা আমাকে দাওয়ার না দিয়ে এখানে অনুষ্ঠান করছিস। এখানে কোন অনুষ্ঠান হবে না। পরে বাকবিত-ায় এক পর্যায়ে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে। পরে ভাংচুর ও উত্তেজনার মধ্যে আয়োজকরা দোয়া মাহফিল শেষ করেন। ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক প্রফেসর আল মাহমুদ বলেন, অনুষ্ঠানে রাজু চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা করেছে। এই হামলায় কমবেশি নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানান তিনি। তবে হামলার বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ বলেন, ওখানে যেয়ে আমি প্রশ্ন করি আমাকে কেন দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এর পর অনুষ্ঠানে এক নেতা আমার সঙ্গে খারাপ আচারণ করে। পরে আমার কর্মীরা অনুষ্ঠানে রুখে যায়; তবে কেউ হামলা করেনি। হামলার বিষয়টি মিথ্যা। এই বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
