নিজস্ব প্রতিবেদক: অভয়নগরের সাব-রেজিস্টার রিপন মুন্সিসহ আট জনের বিরুদ্ধে যশোরের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ে অভিযোগে দেয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতে বসবাসকারী নারীর স্বাক্ষর জালিয়াতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে জমির আমমোক্তারনামা ও দলিল করে নেয়ার অভিযোগ।
সোমবার অভয়নগরের মহাকাল গ্রামের মৃত ফকির আহম্মেদ সরদারের ছেলে আমজাদ হোসেন এ অভিযোগ দিয়েছেন। অন্যরা হলেন, দলিল লেখক শাহিন হোসেন, রাজঘাটের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে হাফিজুর রহমান, গোয়াখোলা গ্রামের মৃত শামসুজ্জামানের ছেলে আবু দাউদ, মোয়াল্লেমতলা গ্রামের শেখ ইসহাকের ছেলে আরিফুল ইসলাম, যশোর সদরের ঘুনী গ্রামের ছামসের মোল্যার ছেলে হাবিবুর রহমান, শহরের বিমানবন্দর সড়কের শরিতুল্ল্যা দফতরির ছেলে সাহেল আহম্মেদ ও চাঁচড়া রায়পাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে মফিজুল ইসলাম।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভয়নগরের মহাকাল গ্রামের আমজাদ হোসেন ও তার তিন ভাই মহাকাল গ্রামের মৃত মোবারেক মোড়লের স্ত্রী রহিমননেছা ওরফে রহিমা খাতুন, সালেহ আহম্মদ দফতরির স্ত্রী মমতাজ বেগম ও আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্ত্রী মালেকা খাতুনের কাছ থেকে বেশ কিছু জমি রেজিস্ট্রি দলিল করে নেন।
এরমধ্যে ২০১৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমদাজ হোসেন মহাকাল মৌজার ১৬৮৫ দাগের ২৮ শতক, আব্দুল কমির সরদার ১৭২৭ দাগের ৬৯ শতক, ওয়াজ কমির সরদার ১২৮৪ দাগের ৬৩ শতক ও ফজলুর রহমান আমডাংগা মৌজার ১৩৯২ দাগের ৫৪ শতক জমির দলিল সম্পন্ন করে ভোগদলখ করে আসছেন।
এরমধ্যে মফিজুল ইসলাম ও দলিল লেখক শাহিন ষড়যন্ত্র করে আমডাংগা মৌজার কয়েকটি দাগের মোট ১৫৬ শতক ধানি জমি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চাকদা থানার সাটুরাহাটখোলায় বসবাসরত সালেহ আহম্মেদ দফতরির (সাকো) স্ত্রী মমতাজ বেগম ওরফে খাতুনের সাক্ষর জাল করে হাফিজুর রহমান অন্যদের সহযোগিতায় সাব-রেজিস্ট্রার রিপন মুন্সিকে অনৈতিক সুবিধা দিয়ে চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তিনটি আমমোক্তারনামা তৈরি করে নেয়। এরপর আবু দাউদ আসামিদের আমডাংগা মৌজার ১৬৮ শতক, মহাকাল মৌজার ১৩৯ দশমিক ৫০ শতক জমির জাল মালিকানা সৃষ্টি করে।
এছাড়া আবু দাউদ গত ১২ অক্টোবর জালজালিয়াতি করে মহাকাল মৌজার ৫০ শতক জমি ও আমডাংগা মৌজার আরও ১৫৬ শতক জমি দলিল করে নেয়। এছাড়া আবু দাউদ একই দিনে আমডাংগা ও মহাকাল মৌজার আরও ১০১ দশমিক ৫০ শতক জমি জালিয়াতি করে দলিল করে নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে জমির ভোগদলকারীদের পক্ষে আমদাজ হোসেন থানায় অভিযোগ দিলে তা গ্রহণ না করায় তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের যশোর জেলা কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।