অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে খোকন মণ্ডল নামের এক কৃষক গত মে মাসে তাঁর বাড়ির বিদ্যুৎ বিল দিয়েছেন ২৩০ টাকা। তাঁর বাড়িতে নেওয়া পল্লী বিদ্যুতের ওই সংযোগে ওই পরিমাণের কাছাকাছিই সাধারণত বিদ্যুৎ বিল হয়। কিন্তু জুন মাসে তাঁর বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে ২ লাখ ৬ হাজার ৯৭৬ টাকা। আর তা দেখে হতভম্বই শুধু নয়, দিশাহারা হয়ে গেছেন ওই কৃষক।
মণ্ডল উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটি গ্রামের নিমাই মণ্ডলের ছেলে খোকন। আজ সোমবার তিনি বলেন, ‘আমার বাড়ির মিটারে ৪টা বাল্ব,৪টা টেবিল ফ্যান ও একটি টেলিভিশন ব্যবহার হয়। বিদ্যুৎ অফিস থেকে আমার ওই মিটারে জুন মাসের বিদ্যুতের খরচ ১৫ হাজার ৫০ ইউনিট করা হয়েছে। টাকার পরিমাণ ২ লাখ ৬ হাজার ৯৭৬ টাকা। অথচ মে মাসে আমি মাত্র ৪০ ইউনিটের বিল বাবদ ২৩০ টাকা পরিশোধ করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত আমার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। সব সময়ই এর নিচেই থাকে। কিন্তু জুন মাসের এই বিল পেয়ে তো আমার মাথায় হাত। দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি। এটা নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগও করেছি। তারা বলেছে ভুল হয়ে থাকতে পারে।’ সেই সঙ্গে সতর্কভাবে বিদ্যুৎ বিল তৈরি করার জন্য বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২, নওয়াপাড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিল তৈরি করার সময় সম্ভবত ভুল হয়েছে। কম্পিউটার অপারেটর এন্ট্রি করতে ভুল করে থাকতে পারে। ভুক্তভোগী গ্রাহক যোগাযোগ করলে বিল সংশোধন করে দেওয়া হবে।’
