নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে প্রথমবারের মত যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ই গেইট (ইলেকট্রনিক ফটক) সেবা কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে। পাসপোর্টধারী নাগরিকেরা মাত্র ১৮ থেকে ৪০ সেকেন্ডে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন। যেখানে এখন ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করতে ঘন্টার পর ঘন্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। সেই ভোগান্তি নিরসনে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে চারটি ই গেইট স্থাপন করা হয়েছে। যা আজ শনিবার বিকেলে উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো স্থলবন্দরেও স্থাপিত হচ্ছে ই-গেইট সেবা কার্যক্রম। এতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের যেমন ভোগান্তি কমবে তেমনি দালাল ও প্রতারকদের দৌরাত্মও কমে আসবে। বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, স্বাভাবিক সময়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ থেকে সাত হাজার মানুষ পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাতায়াত করে। ঈদ ও পূজার সময়ে এই সংখ্যা দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যায়। যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে কাগজপত্র যাচাই বাছাই করতে দীর্ঘ সময় লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এতে যাত্রী ভোগান্তি বাড়ে। লাইনে না দাঁড়িয়ে আগে ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের সুযোগ করে দেয়ার কথা বলে দালাল চক্র যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ায় যাত্রীরা প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হন।
যাত্রী সেবা সহজ ও নিরাপদ করতে বেনাপোল স্থলবন্দরে চারটি ই গেইট স্থাপন করা হয়েছে। এর দুইটি ভারত থকে ফেরা ও দুইটি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশে ব্যবহৃত হবে। ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবীব বলেন, বেনাপোলে ই গেইট সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্যে কর্মীদের ইতিমধ্যে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। এই সেবা চালু হলে ১৮ থেকে ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষ করা হবে। ই পাসপোর্টটি গেইটের নির্দিষ্ট স্থানে স্পর্শ করে আঙুলের ছাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গেইট খুলে যাবে। এতে গমনাগমন নিরাপদ হবে। মানুষের জনভোগান্তি কমবে। নাগরিক সেবা সহজ হবে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে দেশে ই পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের শুধু যশোর কার্যালয় থেকে এক লাখ ৭০ হাজার মানুষ ই পাসপোর্টের আওতায় এসেছেন। দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখনো ই পাসপোর্টের আওতায় আসেননি। যে কারণে ই গেইট সেবা কার্যক্রমের পাশাপাশি ম্যানুয়াল পদ্ধতির সেবা কার্যক্রমও সচল থাকবে। দেশের সব পাসপার্টধারী যাত্রীদের ই পাসপোর্টের আওতায় আসতে কত সময় লাগতে পারে- এমন প্রশ্নের উত্তরে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর যশোর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক মেহেদী হাসান কুতুব বলেন, বর্তমানে দেশে সব জেলা পাসপোর্ট অফিসে ই পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পাসপোর্টধারী সব মানুষকে ই পাসপোর্টের আওতায় আনতে সময় লাগবে। এখন সবাইকে ই পাসপোর্ট দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:মুক্তিযুদ্ধে যশোরের প্রথম শহীদ চারুবালা করের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি
৪ Comments
Pingback: যশোরে ৫০ গৃহহীন পরিবারের স্বপ্ন পূরণ
Pingback: খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত : বৈঠকে সমাধান হয়নি : ক্ষুব্ধ নাগরিক নেতৃবৃন্দ
Pingback: সাংবাদিকদের সাথে এমপি আফিলের মতবিনিময়
Pingback: রাজনৈতিক মাঠ সবার জন্য উন্মুক্ত: আসাদুজ্জামান খান