মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরে আদালতের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে আহত হয়েছেন স্বামী ও স্ত্রী। আজ সোমবার দুপুরে একটি মামলায় হাজিরা দিতে এসে কথা-কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে দুজনে বারান্দা থেকে নিচে পড়ে যান। এ ঘটনায় একে অপরকে দুষছেন তাঁরা।
আহত স্বামী মামনুর রশিদ (৩৫) গাংনী উপজেলার শওড়াতলা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তাঁর স্ত্রী শিমা খাতুন (২৮) গাংনী উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের মালিপাড়ার ফরিদুল ইসলামের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একজন কালো বোরকা পরা নারী এবং আরেকজন মেরুন রঙের জ্যাকেট পরিহিত পুরুষ আদালত ভবনের তিনতলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। একে অপরের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। এরপর দুজনে নিচে পড়ে যায়। পরে লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন, দুজনে মাটিতে পড়ে রয়েছেন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, মামুন ও শিমার ২০১১ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সংসার ভালোই চলছিল। তবে শিমার বাচ্চা না হওয়াকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এ নিয়ে দুপক্ষই আদালতে মামলা করেন। শিমা খাতুন নারী নির্যাতন, যৌতুকসহ আরও দুটি মামলা করেন মামুন ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে আদালতে মামলা রুজু হয়। এরপর আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয় মামুনুর রশিদকে। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা আজ দিতে এসেছিলেন মামুন।
শিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, মামুন তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। এ সময় নিজেকে বাঁচাতে মামুনের শরীরে পরা জ্যাকেট ধরে ফেলেন। এতে দুজনই নিচে পড়ে আহত হন।
এদিকে শিমার বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ করে স্বামী মামুন বলেন, শিমা খাতুন তাঁকে মেরে ফেলার জন্য তিনতলা থেকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিতে চাইলে নিজেও পড়ে যান।
মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুস সাকিব বলেন, দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি পরীক্ষা করাতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট দেখার পর বোঝা যাবে, শরীরে কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না। আপাতত দুজনই সুস্থ আছেন।