বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের চিতলমারীতে ঈদের নামাজের মাঠে আতশবাজি (পটকা) ফাটানোকে কেন্দ্র কাঠিপাড়া ও আদিখালী গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় কাঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বেদবতী মিস্ত্রি ও চিতলমারী থানার পরিদর্শক এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন।
পুলিশ, হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কাঠিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দোকানপাট বসে। এ সময় কাঠিপাড়া গ্রামের অহিদুল শেখের চটপটির দোকানে আদিখালী গ্রামের কিশোর স্বাধীন শেখ ও খাইরুল আতশবাজিতে আগুন ধরিয়ে ছুড়ে মারে। বাজির শব্দে ক্রেতাসাধারণেরা ভয় পান। এ নিয়ে কাঠিপাড়ার লোকজন স্বাধীন শেখকে মারধর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাঠিপাড়া ও আদিখালী গ্রামবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন।
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তিকৃত কাঠিপাড়া গ্রামের আহতেরা হলেন—অহিদুল শেখ (৪০), আবুল হাসান (৩০), আলমগীর শেখ (৪৫), মকবুল শেখ (৫০), রবিউল ইসলাম (৫৫) ও কালু শেখ (৩৫)।
একই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত আদিখালী গ্রামের আহতেরা হলেন—খায়রুল ইসলাম (২৫), ইসমাইল হোসেন (১৯) জুয়েল শেখ, মোহাম্মদ শেখ (২৮), শাহজাহান শেখ (৩০), রবিউল শেখ (৪০) ও স্বাধীন শেখ (১৬)।
কাঠিপাড়া গ্রামের চটপটি দোকানি অহিদুল শেখ আজকের পত্রিকাকে জানান, আদিখালী গ্রামের স্বাধীন শেখ দোকানে আতশবাজি ফাটায়। এ সময় এলাকার লোকজন তাঁকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আদিখালীর লোকজন তাদের পিটিয়ে আহত করেছে।
আদিখালী গ্রামের স্বাধীন শেখের চাচা রবিউল শেখ বলেন, ‘কাঠিপাড়ার লোকজন আমার ভাতিজা স্বাধীনকে মেরে বেঁধে রাখে। আমরা তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে আমাদের লোকজনকে পিটিয়ে আহত করেছে।’
এ বিষয়ে চিতলমারী থানার পরিদর্শক এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’