সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে নূরুল আমীন নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছেন আদালত। সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত নূরুল আমীন কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের আব্দুল গণির ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৭ এপ্রিল গয়ড়া গ্রামের এক কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে নূরুল আমীন নামে এক যুবক। পরে ঐ কিশোরী গর্ভবতী হয়। নূরুল আমীন একই বছরের ২৮ অক্টোবর ভুক্তভোগী কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে কলারোয়া সীমান্তের হিজলদী চেকপোস্টের পাশে ফেলে পালিয়ে যান।
এদিকে অপহরণের ঘটনার পরের দিন ৮ এপ্রিল কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে নূরুল আমীনসহ তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগে আব্দুল জলিল, খলিলুর রহমান, রুহুল আমিন, রিপন হোসেন ও খায়রুল ইসলামকে আসামি করে কলারোয়া থানায় একটি মামলা করেন। তবে কিশোরী নিহত হলে কলারোয়া থানার তৎকালীন এসআই গোলাম সরোয়ার ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট সাতক্ষীরা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেন।
সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, মামলায় পুলিশের দেওয়া চার্জশিট এবং আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। এর ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ এর ৭ ধারায় নূরুল আমীনকে ১০ বছর এবং একই আইনের ৯/২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদ- দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদ-, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদ- দেন আদালত। এছাড়া অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
