কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই কলেজছাত্রীর উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। এতে আহত হয়ে এক ছাত্রী বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অপর ছাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম জোরালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার দুই ছাত্রী শিলাদহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণির (মানবিক) শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত যুবকের নাম আশিক শেখ (২৫)। তিনি একই এলাকার সলেমান শেখ ওরফে সলের ছেলে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী জানায়, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ভুক্তভোগী দুই ছাত্রীসহ ৮ -১০ জন কলেজছাত্রী একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যাচ্ছিলেন। সে সময় আশিক একটি দেশীয় অস্ত্র ( সোল) হাতে নিয়ে তাদের পিছন থেকে তাড়া করে। তাড়া খেয়ে ছাত্রীরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় অভিযুক্ত আশিক এক ছাত্রীর মাথায় কোপ দেয়। তখন ওই ছাত্রী হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের কয়েকটি আঙ্গুল কেটে আহত হন।
আরও জানা যায়, সেসময় আহত ছাত্রীকে উদ্ধার করতে গেলে ওই যুবক আরেক ছাত্রীকে পিছনের পাশ দিয়ে হাতের ডান পাশে আঘাত করে। এতে তিনিও জখম হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক একজনের ডান হাতের আঙ্গুলে সাতটি সেলাই দিয়ে ভর্তি রেখেছেন। আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:প্রতারণা পথ বদলিয়েছে আলোচিত সুমন তানভীর
সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহিলা ওয়ার্ডের ৩ নং বেডে বসে আছেন আহত ছাত্রী। এসময় কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, ৮ – ১০ জন বান্ধবী একসাথে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। সেসময় আশিক ধারালো সোল নিয়ে পিছন থেকে তাড়া করে। তাড়া খেয়ে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তার মাথায় সোল দিয়ে কোপ মারলে তিনি হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার হাতের আঙ্গুল কেটে যায়।
ওই ছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে আশিক হামলা করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
হামলার শিকার আরেক ছাত্রী জানান, তার ডান হাতে সোল দিয়ে আঘাত করেছে ওই যুবক। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করেন।
জানা গেছে, ঘটনার পর থেকেই ওই যুবক পালিয়েছে। তবে আশিকের বাবা সলেমানের দাবি, তার ছেলে মাদকাসক্ত ও মানসিক ভারসাম্যহীন। দুর্ঘটনাবশত এটি ঘটে গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন বলেন, আহত ছাত্রীর হাতের আঙ্গুলে সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে পরীক্ষা – নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি বিপদমুক্ত বলেও জানান এই চিকিৎসক।
কুমারখালী থানার ওসি মোহসীন হোসাইন জানান, অভিযোগ পেলে এ ব্যাপারে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন:দুই ইজিবাইক ও এক প্রাইভেটকারসহ চক্রের ৪ জন গ্রেপ্তার
১ Comment
Pingback: কুষ্টিয়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২