নিজস্ব প্রতিবেদক
কেশবপুরের এক কলেজছাত্রী ধর্ষণের দায়ে মিশু রহমান নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার যশোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ (জেলা ও দায়রা জজ) বিচারক গোলাম কবির এই রায় দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মিশু রহমান কেশবপুর উপজেলার রেজাকাটি গ্রামের মৃত মুফজিলার রহমান কচির ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বিশেষ পিপি সেতারা খাতুন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, কেশবপুরের একটি কলেজের ছাত্রী ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেলে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়। প্রাইভেট পড়া শেষে ভ্যানযোগে বগার মোড়ে নেমে কিছু বাজার করে পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে একটি বাড়ির পিছনে পৌঁছালে আসামি মিশু রহমান তার গতিরোধ করে গায়ে থাকা ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে পাশের একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে অজ্ঞাত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। সন্ধ্যার পর জ্ঞান ফিরে ওই ছাত্রী বাড়ি গিয়ে বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। অসুস্থ ওই ছাত্রীকে প্রথমে কেশকবপুর পরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পরদিন ওই ছাত্রীর মা মিশুকে আসামি দিয়ে কেশবপুর থানায় মামলা করেন। তদন্তকালে আসামি মিশুকে আটক ও তার দেয়া তথ্য এবং সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় চলতি বছরের ৭ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিদুষ বিশ্বাস। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি মিশু রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত মিশু রহমান ঘটনার পর থেকে জেলহাজতে আছে।