নিজস্ব প্রতিবেদক
এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার মামলায় জড়িত শিমুল ভূঁইয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড সাইফুল আলম মেম্বারকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে ৪টায় যুবলীগ নেতা প্রফেসর উদয় শংকর হত্যা মামলা ও নতুন করে দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। শুনানি শেষে আসামি সাইফুল আলমকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দিয়েছেন যশোর সদরের আমলি আদালতের বিচারক গোলাম কিবরিয়া। একইসঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ৩ জুন পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এরআগে চরমপন্থি নেতা সাইফুল আলমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে পুলিশ। জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ মে ভোর রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলাটি করেছেন। আটক আলম মেম্বার ঝিনাইদহের এমপি আনারের হত্যাকারী চরমপন্থী নেতা শিমুল ভুইয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং অভয়নগরের দত্তগাতি গ্রামের কাশেম মোল্যার ছেলে। মামলার পলাতক অন্য দুই আসামি হলো, যশোরের চাঁচড়া এলাকার জিসান এবং অভয়নগর উপজেলার বারান্দী গ্রামের মৃত সাকাওয়াত হোসেনের ছেলে ইমাদ উদ্দিন।
পুলিশ জানিয়েছে, সাইফুল মেম্বার চরমপন্থী নেতা শিমুল ভুঁইয়া ওরফে আমান উল্লাহর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত। সে যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাকিব, সুব্রত এবং মণিরামপুর উপজেলার যুবলীগ নেতা প্রফেসর উদয় শঙ্কর হত্যা মামলায় জড়িত। তাকে গ্রেফতার অভিযান শুরু করলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৮ মে) রাত ৯টার দিকে যশোর শহরের বাবলাতলা এলাকার আদর্শ নার্সারি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় নম্বরের মোবাইল ও বিস্ফোরক জব্দ করা হয়েছে। বিকেলে তাকে যুবলীগ নেতা প্রফেসর উদয় শংকর হত্যা মামলা ও নতুন করে দায়ের করা বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একইসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিস্ফোরক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
যশোরের পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সাইফুল মেম্বার ভারতে ছিলেন। তিনি ভারতীয় মোবাইল নম্বর দিয়ে যোগাযোগ রক্ষা করতো। গত ২০ মে সে অবৈধ পথে দেশে ফিরে। এমপি আনারের ঘটনায় তার সম্পৃক্ততা আছে কিনা সেটি আমরা তদন্ত করে দেখবো। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। ১৩ মে তাকে কৌশলে ডেকে নিয়ে কলকাতার নিউটাউন এলাকার সঞ্জীভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে ট্রলি ব্যাগে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেয় হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় ভারত ও বাংলাদেশে ৬ জন গ্রেফতার হলেও মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীন যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছে।